ওজন কমাতে চাইলে এই ক্যালোরির ঘাটতি অপরিহার্য। এ জন্য যে ধরনের ডায়েট মেনে চলা হোক না কেন, সবই ক্যালোরি ঘাটতির কথা মাথায় রেখেই তৈরি। এখন ক্যালোরি গণনা বা পরিমাপ করা যদি খুব জটিল বা সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে এখানে কিছু টিপস রইল।
আরও পড়ুন Banana Eating benefits: কলা উপকারি বলেই যখন-তখন খেলে হবে না, রয়েছে নির্দিষ্ট সময়
advertisement
ডায়েট: ক্যালোরির ঘাটতির জন্য প্রথমেই ডায়েট পালটাতে হবে। ওজন কমাতে চাইলে পুষ্টি সমৃদ্ধ কিন্তু ক্যালোরি কম খাবারই পাতে রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে রঙিন শাকসবজি, গোটা শস্য এবং তাজা ফল। এছাড়াও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিহীন মাংস, মুরগি, ডিম, লেবু, বাদাম, সয়া পণ্য এবং সামুদ্রিক খাবার খাওয়া উচিত। দুধ এবং অন্যান্য কম চর্বি বা চর্বি-মুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দইও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি অংশ। তেলের জন্য, দেশি ঘি, জলপাই তেল বা ক্যানোলা তেল বেছে নেওয়া যায়। সব ধরনের প্যাকেটজাত খাবার যেমন চিনিযুক্ত পানীয় এবং ট্রান্স ফ্যাট বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
ব্যায়াম: ওজন কমানোর জন্য শুধু ডায়েটে কিছু হবে না। সঙ্গে ব্যায়ামও করতে হবে। অভ্যাস না থাকলে হাঁটা, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে যাওয়া, ব্যাডমিন্টনের মতো বিনোদনমূলক খেলা বা আশেপাশে বা পার্কে সাইকেল চালানো দিয়ে শুরু করা যায়। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যত বেশি হবে তত বেশি ক্যালোরি পুড়বে। সঙ্গে এটাই ক্যালোরি ঘাটতি তৈরি করা সহজ করে তুলবে।
উচ্চ ক্যালোরি ঘাটতি জন্য ক্র্যাশ ডায়েটিং: ক্যালোরি ঘাটতি কীভাবে হচ্ছে একবার বুঝতে পারলেই আরও বেশি ক্যালোরি ঘাটতি তৈরির দিকে মন যাবে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে না খেয়ে ওজন কমানোটা কোনও কাজের কথা নয়। এতে শরীরের বিপাকের হার ধীর হবে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়াও আরও জটিল হয়ে উঠবে। সুতরাং তাড়াহুড়ো না করে প্রতি সপ্তাহে ০.৫ থেকে ১ কেজি ওজন কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
পরিমাণ কমানো: ক্যালোরি ঘাটতি তৈরি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি হল পরিমাণ কমানো। যদি কেউ রাতে ২টো রুটি খান তাহলে এখন থেকে একটা বা দেড়টা রুটি খেতে হবে। তবে এ জন্য পেটে খিদে রাখলে চলবে না। খাবারের পরিমাণ কত হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।