এখন সমাধান হবে কীভাবে? এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। স্কুলে যাওয়ার জন্য উৎসাহ যোগাতে হবে। নতুন ক্লাস, নতুন বইখাতা, নতুন বন্ধুদের সঙ্গে যাতে বাচ্চা মিশে যেতে পারে সে জন্য তৎপর হতে হবে। বাচ্চাকে দিতে হবে কিছু ‘পজিটিভ টাচ’। ফিরিয়ে দিতে হবে পুরনো স্মৃতি। তাহলেই স্কুলে যাওয়ার জন্য বায়না ধরবে খোদ বাচ্চারাই।
advertisement
আরও পড়ুন নজর লাগছে? শনির দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও বিশেষ নিয়ম মেনেই পায়ে কালো ধাগা বাঁধুন
নতুন অভিজ্ঞতা: স্কুল মানে শুধু পড়াশোনা নয়, নতুন নতুন মজাও। স্কুল মাঠে দৌড়াদৌড়ি, টিফিনের সময় ভাগ করে খাওয়াদাওয়া, নতুন নতুন বন্ধু, স্কুলে না গেলে এসব কিছুই হবে না। সেটা বোঝাতে হবে বাচ্চাকে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তৈরি করে দিতে হবে খুদের মনে।
স্কুলে নার্ভাস: অনেক বাচ্চাই আছে স্কুলে ঢুকে নার্ভাস হয়ে যায়। কেঁদে ফেলে। মা-বাবাকে ছাড়তেই চায় না। এ জন্য বাচ্চাকে কয়েকটা কৌশল শিখিয়ে দিতে হবে। যেমন মনে মনে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গোনা কিংবা গভীর ১০টা শ্বাস। এতে মন শান্ত হয়ে যায়।
রঙ-পেনসিল: দু’বছর পর নতুন স্কুলে যাচ্ছে। এই সময়টা বাচ্চার আগ্রহ বাড়াতে নতুন খাতা, পেনসিল, রঙচঙে রাবার কিনে দেওয়াই যায়। ড্রয়িং খাতা আর রঙ-পেনসিলে কোন বাচ্চা না খুশি হয়। এতে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ তো বাড়বেই, বাচ্চারাও সৃজনশীল হবে।
আরও পড়ুন ৪০ পেরোতেই ত্বকে ছোপ, একমাত্র এভাবেই মোকাবিলা করলে মিলবে উজ্জ্বল ত্বক
উইশ লিস্ট: বাচ্চা কী করতে ভালোবাসে, কী কী করতে চায় সেগুলো লিখে ফেলা যায়। তৈরি হোক উইশ লিস্ট। শুধু বাচ্চা নয়, অভিভাবকরাও এটা করতে পারে। বছরের শেষে মিলিয়ে দেখা হোক ক'টা ইচ্ছে পূরণ করা গেল।
মজার টিফিন বক্স আর কুল ওয়াটার বোতল: ছোটদের জন্য এর থেকে মজার আর কিছু হয় না। একটা মজার টিফিন বক্স আর কুল ওয়াটার বোতল পেলে বাচ্চাদের উত্তেজনা একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়।
দারুণ টিফিন: স্বাস্থ্যকর সবজি বাড়িতে থাক। স্কুলের জন্য টিফিনের খাবার হোক জিভে জল আনা। টিফিনের কথা ভেবেই চারটে পিরিয়ড যে কোথা দিয়ে কেটে যাবে! নিত্যনতুন টিফিন থাকলে স্কুলে যেতেও আর গাঁইগুঁই করবে না খুদে!