আরও পড়ুন- হৃদরোগ দূরে রাখা থেকে রোগা হতে সাহায্য করা, বহু সমস্যা সমাধানে মুড়ি জুড়িহীন
সাহায্য চাইলেই ব্যস্ততা দেখানো:
ধরা যাক, আপনি একটা টিম হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন৷ তাই সকলের প্রয়োজনে আপনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ কিন্তু আপনার সহকর্মীর কাছে কোনও সাহায্য চাইলে যদি দেখেন যে, তিনি ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন, তা হলে বুঝতে হবে তিনি আসলে সাহায্য করতে চাইছেন না এবং আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন৷
advertisement
আপনার প্রশংসায় ঠাট্টা করা:
সিনিয়ররা অথবা বস আপনার প্রশংসা করলেন৷ কিন্তু পরে আপনার সহকর্মী ওই প্রশংসা নিয়েই ঠাট্টা-তামাশা করল৷ তা হলে বুঝতে হবে, সহকর্মী আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত৷
একঘরে করার চেষ্টা:
হয় তো আপনার অফিস থেকে বাইরে কোথাও খেতে গিয়েছে সবাই মিলে৷ কিন্তু সেখানে আপনাকে ডাকা তো হলই না, এমনকী জানানোও হল না৷ তা হলে বুঝতে হবে, আপনাকে নিয়ে হিংসে রয়েছে তাঁদের মনে৷ আসলে তাঁরা আপনাকে একঘরে করে দিতে চাইছেন৷ তাই কর্মক্ষেত্রে এমন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে, যাঁরা আপনার চারিদিকে পজিটিভ ভাইব ছড়াবে৷
পিছনে কথা বলা:
এটা ভীষণ ভাবে সব জায়গাতেই প্রায় হয়৷ এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা আপনার সামনে মিষ্টি কথা বলবেন, কিন্তু পিছনে গেলেই আপনার নামে আজেবাজে কথা রটিয়ে বেড়াবেন৷ এমনকী যা নয়, তা-ও খানিক মশলা মাখিয়ে রটিয়ে বেড়ান এই ধরনের মানুষেরা৷ কর্মক্ষেত্রও এর ব্যতিক্রম নয়৷ তাই এই সব পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং কাজে দক্ষতা দেখাতে হবে৷ এর পাশাপাশি বসের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে৷
আপনাকে পাত্তা না-দেওয়া:
ধরা যাক, আপনি কিছু বলছেন, সেই সময় আপনার কথা না-শুনে নিজের বক্তব্য রাখছেন আপনার সহকর্মী৷ অথবা আপনি কোনও একটা আইডিয়া দিলেন বা কিছু বললেন, সেটা পাত্তা দিচ্ছেন না ওই সহকর্মী কিংবা আপনার আইডিয়া বা পরামর্শের সঙ্গে একমতও হচ্ছেন না তিনি৷ এমন হলে বুঝতে হবে আপনার প্রতি হিংসে রয়েছে ওই সহকর্মীর৷ আবার অনেক সময় মানুষ এত বিষাক্ত হয় যে, তাঁদের ঈর্ষা অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে৷ সে সব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যায়, কাজের ফাইল নষ্ট করে দিচ্ছেন সহকর্মী অথবা খেটেখুটে তৈরি করা প্রেজেন্টেশনও ডিলিট করে দিচ্ছেন তাঁরা৷ তাই নিজের কাজের একটা ব্যাক-আপ সব সময়ই রাখা উচিত৷