জয়কুমার পটেল জানান, থাইরয়েড গ্রন্থি অনেকটা প্রজাপতি আকৃতির। এটি ঘাড়ের কাছে থাকে। এই গ্রন্থি থেকে উৎপাদিত হরমোন বিপাক, হৃদস্পন্দন এবং শরীরের অন্য নানা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
থাইরয়েড নোডুলস কী?
ছোট, তরল ভরা শক্ত পিণ্ড তৈরি হতে পারে গ্রন্থির গায়ে, এটি অস্বাভাবিক। কোনও অস্বস্তি না হলে এটি ক্ষতিকারক নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে থাকে। মহিলাদের মধ্যেই বেশি। আকারে খুব ছোট হওয়ায় প্রায় কোনও লক্ষণ দেখাই যায় না। শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বা নিডল বায়োপসি, আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের সাহায্য ধরা পড়তে পারে।
advertisement
প্রাথমিক ভাবে থাইরয়েড নোডুল নন-ক্যানসারাস হলে সিটি স্ক্যান করলে দেখা যায় এগুলি সিস্টের মতো, মসৃণ ও সুনির্দিষ্ট আকারের। কিন্তু অনেক সময়ই এগুলি ক্যানসারযুক্ত হতে পারে। তা আলাদা করে সনাক্ত করা কঠিন
প্রযুক্তি কৌশলের সাহায্যে বোঝা যেতে পারে ওই স্ফীতি ক্যানসারযুক্ত নাকি নয়।
আল্ট্রাসাউন্ড:
প্রাথমিক পদ্ধতিই হল আল্ট্রাসাউন্ড। এর মাধ্যমে নোডুউলের আকার, আকৃতি এবং প্রকৃতি সবই নির্ধারণ করা যায়। তবে তা সঠিকভাবে ক্যানসার সনাক্ত করতে পারে না।
FNA বায়োপসি:
মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণের ফাইন-নিডেল অ্যাসপিরেশন (FNA) বায়োপসি-র মাধ্যমে নোডুলের কোষ পরীক্ষা করা হয়। একটি অতি-সূক্ষ্ম সূঁচের সাহায্যে কোষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: সন্তানের পুষ্টির দিকে নজর থাকুক! না হলেই হাজার রোগ, কী করবেন, বিশেষজ্ঞের টিপস
আরও পড়ুন: ডায়েট বৃথা! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওবেসিটি আর ডায়াবেটিস, সমাধান কী, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
মলিকিউলার পরীক্ষা:
সঠিক নির্ণয়ের জন্য এবং ওই নোডুলের জেনেটিক পরিবর্তন বোঝার জন্য, আণবিক পরীক্ষা করা হয়।
নির্ণয়ের উপর নির্ভর করে, থাইরয়েড নোডুলসের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে বিনাইন বা নন-ক্যানসারাস হলেও তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। আর যদি তা ম্যালিগন্যান্ট হয়, অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
আকার বা চেহারার যেকোনও পরিবর্তন নিরীক্ষণ করার জন্য, থাইরয়েড নোডুলস-সহ সমস্ত রোগীর জন্য নিয়মিত ফলো-আপ প্রয়োজন। ক্যানসারযুক্ত নোডুল অপসারণের পরে রোগীকে অন্য কোনও নতুন বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখতে হবে।
সাধারণত বেশিরভাগ থাইরয়েড নোডুলই বিনাইন হয়ে থাকে। তবে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ঘাড়ে কোনও অস্বাভাবিকতা, ফোলা ভাব থাকলে থাইরয়েড নোডিউলের ঝুঁকি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।