আয়রন:
প্রত্যেক মাসে শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মহিলাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে অনেকেরই ক্লান্তি এবং আলস্য আসে। এমনকী শরীরে আয়রনের পরিমাণ কম হলে পিরিয়ডসের আগে ক্লান্তি এবং বেদনাদায়ক ক্র্যাম্প হতে পারে। তাই ডায়েটে অবশ্যই খেজুর, সবুজ শাক-সবজি, বেদানা এবং বিটের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
advertisement
ফাইবার:
ফাইবার শরীর থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এই উপাদান অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ অপসারণ করার প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে ক্র্যাম্প কমে যায়। তাছাড়া ফাইবার অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে ফাইবার।
তাঁরা।
আরও পড়ুন: মুছে গেল অভিমান, ফের তৃণমূলে ফিরছেন শোভন? 'দিদি'র সঙ্গে সাক্ষাতেই সব স্পষ্ট
তুলসি বা বেসিল সিড:
প্রয়োজনীয় ভিটামিন-মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ একটি সুপারফুড হল তুলসি বা বেসিল সীড। আর এই খাবার পিএমএস (PMS)-এর উপশমেও সাহায্য করে। এই ধরনের বীজ দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং মাসিক চক্র নিয়মিত করতেও সাহায্য করে।
মিলেট:
পিরিয়ডস সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে ডায়েটে রাখতে হবে মিলেট জাতীয় খাদ্য উপাদান। এতে শরীরের প্রদাহ কমে বলে ঋতুস্রাবের ক্র্যাম্পও অনেক কম হয়। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে জোয়ার, রাগি, বাজরা, সানওয়া, ছোলা, রাজগিরা এবং কুট্টু।
ঘি:
ঋতুস্রাব চলাকালীন প্রত্যেক খাবারের সঙ্গে এক চা-চামচ ঘি যোগ করলে তা ঋতুস্রাবজনিত হজমের সমস্যা উপশম করতে সাহায্য করবে।
গ্রাউন্ড ফ্লাক্স সিড:
ফ্লাক্স সিডে রয়েছে লিগনান, যা অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনকে একত্রিত করে তা শরীর থেকে বার করে দিতে পারে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ঋতুস্রাব।
হলুদ:
হলুদে উপস্থিত উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্মী উপাদান ঋতুস্রাবে হরমোনজনিত ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিস্পাসমোডিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ঋতুস্রাব এবং পিএমএস-এর উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আবার হলুদ ও আদার মিশ্রণও মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। সেক্ষেত্রে ১ চা-চামচ হলুদ এবং ১ টেবিল-চামচ আদা জলে ফুটিয়ে পান করতে হবে।
জল
পিরিয়ডসের কারণে পেট ফোলার সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। উষ্ণ কিংবা গরম জল পিরিয়ডসের ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে।
ম্যাগনেশিয়াম:
ম্যাগনেশিয়াম জরায়ুর পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। ফলে ঋতুস্রাবের ব্যথা কমে। তাই ডায়েটে রাখতে হবে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ডার্ক চকোলেট, অ্যাভোকাডো, ছোলা, মটর, টোফু, গোটা শস্য ইত্যাদি।
ক্যামোমাইল চা বা ক্যামোমাইল টি:
ক্যামোমাইলে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন (প্রদাহের জন্য দায়ী এই রাসায়নিক) উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। মাসিক চক্র (Menstruation Cycle) শুরু হওয়ার ঠিক আগে জরায়ু থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নিঃসরণ ঘটে। আর পিরিয়ডস শুরু হওয়ার সময় প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন বেরোতে থাকে, যার ফলে জরায়ুর রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয় এবং বেদনাদায়ক ক্র্যাম্পের সৃষ্টি হয়।