যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, যে খাদ্যাভ্যাস আমরা ছেড়ে এসেছি। সেগুলোকে যদি আবার ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ওষুধ নির্ভরতা কমতে পারে। তিনি বলেন যাঁরা প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খান, তাঁরা যদি নিয়মিত রাতের বেলা শোওয়ার আগে পরিমাণ মতো দুধ পান করেন, তাহলে তাঁদের পরবর্তী সময় ঘুমের ওষুধ নাও খেতে হতে পারে। তিনি বলেন দুধের মধ্যে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা থেকে সেরোটোনিনের সূত্রপাত ঘটে। এই সেরোটোনিন মস্তিষ্কে যে সংকেত পাঠায়, তা মানুষের স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমন করে। যার ফলে মানুষের ঘুম অনায়াসে চলে আসে।
advertisement
তিনি এও বলছেন, দুধের সঙ্গে যদি গুড় খাওয়া যায়, তাহলে আরও সুবিধা হয়। যেমন গুড়ের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, বি৬, ভিটামিন সি রয়েছে। সঙ্গে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। গুড়ে যেরকম জিংক,সেলেনিয়াম নামের খনিজ থাকে। যা মানুষের অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। মনসামঙ্গল কাব্য থেকে শুরু করে পুরনো বিভিন্ন উপন্যাসে উল্লেখ রয়েছে, রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া উচিত। দুধ খাওয়া অনেকেই কমিয়েছেন। কারণ দুধ খেলে অনেকের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের মধুমেহ রয়েছে, তাঁরা গুড় খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে শুধু দুধ খাওয়া উচিত বলে মনে করছেন প্রশান্ত বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: প্রতি তিনজনে একজন ভুগছেন জ্বরে! আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সমীক্ষা রিপোর্ট, কোভিড কি আবার ফিরে এল
তিনি বলেন, দুধ সুষম খাদ্য। গরুর দুধে যে কোলেস্টেরল থাকে, সেটি ভাল কোলেস্টেরল। গরুর দুধে ফ্যাট কম থাকে। মহিষের দুধে ফ্যাট বেশি থাকে। কেউ যদি খাবারের ফ্যাট নিয়ে চিন্তা করেন, তাহলে তাঁদের গরুর দুধ খাওয়াটাই উপকারী বলে তিনি জানান। তবে ঘুমের ওষুধ কমিয়ে যদি দুধ এবং গুড় খাওয়া অভ্যাস করেন, তাহলে ঘুমের ওষুধের নির্ভরতা কমতে পারে বলে জানান প্রশান্ত বিশ্বাস।