#কলকাতা: আামাদের ভালবাসার শহর কলকাতা। এই শহরের মানচিত্রে পূর্ব থেকে পশ্চিম উত্তর থেকে দক্ষিণ এখন শুধু গজিয়ে উঠেছে হাজার হাজার আবাসন। হতে পারে তার মধ্যে একটা বাসা আপনার।
নিজের এই ছোট্ট বাসা যে আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে চাইবেন তা তো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু হাওয়ায় বাড়তে থাকা দূষণের কারণে এখন অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা সবাই। কেমন হয় যদি বাড়ির বারান্দাটাই হয়ে ওঠে বাগানের মতন। ফ্রেশ অক্সিজেন চব্বিশ ঘণ্টা আপনার নাগালে।
advertisement
এই অক্সিজেন পাওয়াটা খুব একটা কঠিন নয়। আপনার বারান্দার দেওয়াল বা ছাদ হয়ে উঠতে পারে আস্ত একটা বাগান। যদি আপনার ছাদ নাও থাকে বারান্দার দেওয়ালটাকে বাগান করে ফেলুন। একে বলা হয় ভারটিকাল গার্ডেনিং। কতটা জায়গা জুড়ে করতে চান বাগান তার ওপরে নির্ভর করে কিনতে হবে টব। সেই টবেই গজিয়ে উঠবে নানান রকমের পাতা বাহার। কোনওটা কচি কলাপাতা রঙের তো আাবার কোনওটা লাল। নানান রঙের বাহারি গাছে দারুণ সেজে উঠবে দেওয়াল বাগান। সেই টব দেওয়ালে ঝোলানোর ব্যবস্থাও করা যায় সহজে। শীতকালে বাহারি গাছ না চাইলে, নানান রকমের ফুলের গাছও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এত গেল ভারটিকাল বাগানের কথা। কিন্তু যদি বাড়ির ছাদ বড় থাকে তাহলে সেখানেও হতে পারবে ফুল লেন্থ বাগান। মিনিমাম ৬০০ স্কোয়ার ফুট ছাদ হলেই বাগান দারুনভাবে করা সম্ভব।এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই বাগানটা কী ভাবে তৈরি হবে? এখানে আমরা টবের ব্যাবহার করবনা বরং মাটি ফেলে তৈরি করা হবে বাগানটি।প্রথমে একধরনের জিও শিট ব্যাবহার করা হবে ছাদের ওপরে।তার ওপরে থাকবে মাটি,শার,পাথরের বিভিন্ন স্তর।পাশ থেকে বের করে নেওয়া হবে ড্রেনেজ সিসটেম।মিনিমাম দু ফুট মাটি ফেললেই, প্রায় চার থেকে ছয় ফুটের গাছ করতে পারা যাবে। তবে ভেবে বসবেন না এখানে নারকেলগাছ হওয়াও সম্ভব।তবে মাটি ফেলার পর প্রথমেই ঘাস লাগানো মাস্ট। অনেক ধরনের ঘাসের মধ্যে থেকে চুস করতে পারবেন।পাম গাছের বিভিন্ন ভ্যারাইটি দিয়ে বাগান সাজালে তা হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়।পাথরের ব্যাবহার নির্ভর করবে কি ধরনের লুক চাই তার ওপর। রাসটিক বা ন্যাচেরাল দু’ধরনের লুক পাওয়া যাবে এতে।
এই ধরনের বাগান চাইলে একটু বেশি খরচা করতেই হবে আপনাকে। তবে কতটা জায়গা জুড়ে বাগানটা তৈরি করবেন তার ওপরেই নির্ভর করবে দাম। শৌখিনতা বজায় থাকবে অথচ খুব বেশি খরচাও যদি না করতে চান তাহলে ভারটিকাল বাগান হতে পারে আপনার ফার্স্ট চয়েস।
