এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ কেন: নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলে। এটা শুধুমাত্র পেশিশক্তির উন্নতি বা মনঃসংযোগ বাড়ায় তাই নয় উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং স্থূলতা সহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। তাছাড়া ব্যায়াম করলে মেজাজ ভাল থাকে, চাপ কমে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, নিয়মিত এক্সারসাইজ মস্তিষ্কের বিভিন্ন রাসয়নিককে উদ্দীপিত করে। ফলে উদ্বেগ কমে, শান্তি মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন শরীর থাকেব টানটান, এই সব ড্রিঙ্ক-এ চুমুক দিলেই মারাত্মক উচ্ছ্বাস ধরা পড়বে!
ব্যায়াম কি কোভিড থেকে রক্ষা করতে পারে: নিয়মিত ব্যায়াম ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষের সঞ্চালন বাড়িয়ে সেলুলার অনাক্রম্যতা সক্রিয় করে। শরীরকে ভবিষ্যতের যে কোনও সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। একই ভাবে, ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। উল্লেখ্য, প্রায় ১.৮ মিলিয়ন ব্যক্তির উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী মহিলারা। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১১ শতাংশ কম। অন্যদিকে যাঁরা ব্যায়াম করেন না তাঁদের গুরুতর রোগের ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ বাড়ে।
ঝুঁকি কমাতে কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত: গবেষণা অনুসারে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম কিংবা ৭৫ মিনিটের প্রচণ্ড অনুশীলন কোভিডের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম সুরক্ষা প্রদান করে।
নিয়মিত ব্যায়ামে কোভিডের ঝুঁকি কমে: গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে করোনা আক্রান্ত হওয়া কিংবা হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা ৩৬ শতাংশ কমে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৪৩ শতাংশ হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন নজর লাগছে? শনির দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও বিশেষ নিয়ম মেনেই পায়ে কালো ধাগা বাঁধুন
করোনা আক্রান্ত অবস্থায় কী ব্যায়াম করা উচিত: বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা হালকা বা মাঝারি কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠছেন, তাঁদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ পুনরায় শুরু করার আগে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত। সঙ্গে এও বলা হয়েছে, কোনও উপসর্গ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হলে কমপক্ষে ৭ দিন পর ব্যায়াম শুরু করা উচিত। সেই সময় অন্তত দুই সপ্তাহ হালকা অনুশীলন করাই ভাল। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, অল্প হাঁটাহাঁটি এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম দিয়ে অনুশীলন শুরু করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে মাঝারি এবং ভারী ব্যায়ামের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।