বেশি স্নান করলে কী হয়?
সাধারণত ত্বকে তেলের একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর এবং ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রয়েছে যা আমাদের ত্বককে শুষ্কতা এবং জীবাণু থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার করলে বিশেষ করে সাবান দিলে এবং অনেক স্ক্রাবিং করলে এই স্তরটি উঠে যেতে পারে। যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে চুলকানি হতে পারে। আবার এর থেকে ত্বকে ফাটল হয়ে জীবাণু এবং অ্যালার্জেনের ত্বকে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। পাশাপাশি ঘন ঘন স্ক্রাব করলে আমাদের ত্বককে সুরক্ষাপ্রদানকারী অ্যান্টিবডি তৈরির সুযোগ থাকে না। অত্যাধিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানের ব্যবহার আসলে প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়াল সুরক্ষা বন্ধ করে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন-৫০ হাজারেরও বেশি টাকা গেল জলে, সৌন্দর্যবৃদ্ধির বদলে মুখে এখন বানরের মতো কালো দাগ!
ঠিকমতো স্নান না করলে কী হতে পারে
গকায়ের দুর্গন্ধের কথা ছেড়ে দিলেও ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ত্বকে অতিরিক্ত তেল থাকলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে ব্রন হতে পারে। ত্বকে ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে নোংরা ও মরা কোষ জমে এক্ষেত্রে আরও সমস্যা তৈরি করে। এমনকী, খুসকি এবং একজিমার মতো ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
প্রতি সপ্তাহে কতটা স্নান করা উচিত
অনেক চিকিৎসকেরা বলেন যে বেশিরভাগ মানুষের দৈনিক স্নান করা ভাল। কিন্তু অনেক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্নান করাই যথেষ্ট। আসলে এটি আমাদের লাইফস্টাইলের উপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে যিনি সারাদিন ঘরের মধ্যে থাকেন তাঁর চেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যিনি রোদের মধ্যে কাজ করেন, তাঁর বেশি স্নানের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি যদি নির্দিষ্ট কোনও অ্যালার্জির সমস্যা থাকে অথবা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে নিয়মিত স্নান করা উচিত।
আরও পড়ুন-বসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ডেকে আনতে পারে বিপদ, জেনে নিন সবটুকু!
কতক্ষণ স্নান করা উচিত
সকলের জন্য স্নানের সময় এক নয়। সেক্ষেত্রে যত বেশি সময় ধরে স্নান করা হবে, তত চুল ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। ৩ থেকে ৫ মিনিট স্নানে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন বগল, কুঁচকি এবং মুখের দিকে নজর দিতে হবে এবং নোংরা না থাকলে সমস্ত ত্বকে স্ক্রাব না করলেও চলে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করারও প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা বেশিরভাগ চুলের জন্য ভাল। তবে চুল তৈলাক্ত হলে এর চেয়ে বেশি বার শ্যাম্পু করা যায়।
আবার স্নানের জলের তাপমাত্রাও পার্থক্য নিয়ে আসে। গরম জল আরামদায়ক হলেও বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি হতে পারে। তাই জল খুব গরম নয়, ঈষৎ উষ্ণ রাখাই শ্রেয়। আবার সুগন্ধ ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে বলে মৃদু সাবান ব্যবহার করা উচিত। তাই সাবান কেনার সময় জেন্টল ক্লিনজার, সেনসিটিভ ত্বক অথবা হাইপোঅ্যালার্জেনিক লেবেল দেখে কিনতে হবে। পাশাপাশি জল মোছার সময়ে না ঘষে তোয়ালে আলতো চাপ দিয়ে শুকিয়ে নিয়ে কোনও গন্ধ ছাড়া ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়ার জন্য স্নান করে বেরোনোর ৩ মিনিটের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।