কিন্তু সেটাই তো সবচেয়ে শক্ত কাজ। ভাল-মন্দ খাবার দেখে লোভ সামলানো যায় না কি! মন তো শুধুই খাই-খাই করে। চিন্তা নেই। এই সহজ কৌশলগুলো মেনে চললেই রেস্তোরাঁয় গিয়েও অতিভোজনের ফাঁদে পড়তে হবে না।
প্যাক করে বাড়িতে আনা: বাড়িতে যতটা খাওয়া হয়, রেস্তোরাঁর ‘মিল সাইজ’ তার চেয়ে ঢের বেশি। এক প্লেট খাবারে অনায়াসে দুজনের পেট ভরে যায়। তাছাড়া রেস্তোরাঁয় গিয়ে সাধারণত দুই-তিন রকমের আইটেম অর্ডার করা হয়। চোখের সামনে টেবিলে সাজানো সুস্বাদু খাবার দেখলে বেশি না খাওয়াটাই আশ্চর্যের। এই রকম পরিস্থিতিতে বাড়তি খাবার বাড়িতে আনাই ভাল। যতটা খিদে ততটা খেয়ে বাকিটা প্যাক করে নেওয়া যায়। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে শরীর।
advertisement
আরও পড়ুন: আলোর মালা থেকে ফুলের সাজ, বড়দিনে মাত্র কয়েকটি জিনিসেই বাড়ি হবে সেলফি রেডি!
খাবার উপভোগ করা, ধীরে ধীরে খাওয়া: টেবিল ভর্তি সারি সারি প্লেট। সুস্বাদু খাবারের গন্ধে ম-ম করছে চারদিক। এমন অবস্থায় অনেকেই গোগ্রাসে খেতে শুরু করেন। যেন কত তাড়াতাড়ি প্লেট খালি করা যায় সেটাই লক্ষ্য। এতে রসনা তৃপ্তি তো হয়ই না, শরীরও খারাপ হয়। খাবার সবসময় ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। প্রতিটা গ্রাস চিবোতে হবে ভাল করে। তবেই জিভ আর আত্মার সেতুবন্ধন হবে। মন ভরবে, পেটও। অতিরিক্ত খাওয়াও এড়ানো যাবে।
আরও পড়ুন: তৈরি হবে ওভেন ছাড়াই, বড়দিনে সবাইকে চমকে দিন চিকেন রোস্ট বানিয়ে! জানুন রেসিপি
প্রথমে স্যালাড অর্ডার: প্রথমেই পিৎজা, বার্গার বা ফ্রাইয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে চলবে না। সবার আগে অর্ডার দিতে হবে স্যালাড। শাকসবজি খেলে পেট কিছুটা ভরবে, শরীরে পুষ্টিও যাবে। এরপর উচ্চক্যালোরিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খেতে মন চাইলেও শরীর সায় দেবে না।
জলে অল্প অল্প চুমুক: হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া জল খেলে পেট ভরে যায় তাড়াতাড়ি। অনেক সময় তৃষ্ণার্ত থাকলেও খিদে পায়। তাই অতিরিক্ত খাবার এড়াতে মাঝে মধ্যে জলের গ্লাসে চুমুক দেওয়া ভাল কৌশল।
নিজেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়: অনেকে প্রতিজ্ঞা করেন, ওজন না কমা পর্যন্ত বাইরে খাব না। এমন প্রতিজ্ঞা ভাল, কিন্তু আদতে কোনও কাজে আসে না। মাথায় রাখতে হবে, সংযমই আসল, সব ক্ষেত্রে। আর দীর্ঘমেয়াদে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা দরকার। কয়েকটা খাবার থেকে নিজেকে বঞ্চিত করলে, অন্যান্য পদ বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এই কারণেই ডায়েট করতে হয় বুঝেশুনে। ওজন কমানোর জন্য খাবার এবং শারীরিক কার্যকলাপ, দুদিকেই ভারসাম্য রাখতে হয়।