করোনাভাইরাসের থেকে রেহাই পেতে ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রাজিল-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তাতে কোভিড ১৯-এর প্রভাব যে কিছুটা কমেছে, তা মেনে নিয়েও সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে বিশ্বে আবারও ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনাভাইরাস। তখন অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করা আরও কঠিন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ অন্যান্য ফ্লু কিংবা ভাইরাসের থেকে করোনার চরিত্র ভিন্ন বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। কোভিড ১৯-এর চেন পুরোপুরি ভাঙতে মানুষকে আরও ধৈর্যশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
বিশ্বের ১৮ জন বিশেষজ্ঞ একত্রে করোনাভাইরাসের উপরে গবেষণা চালিয়ে এক চিন্তাজনক তথ্য হাতে পেয়েছেন। করোনাভাইরাসের নতুন এক চরিত্র তাঁদের সামনে ধরা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে পরিলক্ষিত এ ধরনের ভাইরাসের কার্যপদ্ধতি সার্সের (SARS) মতো ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এর থেকে বাঁচতে মানুষকে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার মতো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞানীদের কথায়, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে নজরে আসা করোনা ভাইরাসের নতুন চরিত্র অনেক দ্রুত সংক্রামিত হয়। লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলে এই ভাইরাসের জেরে সংক্রমণের হার যেমন বাড়বে, পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড ১৯-এর নতুন চরিত্র যে কোনও ফ্লু-কে হার মানাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগেভাগে সতর্ক হলে এই বিপদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখা সম্ভব বলেও মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তার জন্য অনেক বেশি ধৈর্য্যের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১১ কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ। আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়ায় কোভিড ১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ১ কোটি ১১ লক্ষ, ১ কোটি ৮ লক্ষ এবং ৪৩ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। কমে গিয়েও ইংল্যান্ডে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। সে দেশে ৪২ লক্ষেরও বেশি মানুষ কোভিড ১৯-এ সংক্রামিত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন এক লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ২০২২ সালের আগে অতিমারী থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্বিত ঘোষ