সুদূর কলকাতা থেকে অর্ডার পাচ্ছেন সহেলী। এমনকি দূরত্বের কারণে সব অর্ডার নিতেও পারছেন না তিনি। বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে অর্ডার। কাস্টমাইজড চকোলেট বানানো খুব কঠিন কাজ। ধৈর্য ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করতে হচ্ছে হাতে করে। তৈরি করছেন বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা সহেলী রক্ষিত।
এর ধার্যমূল্য নির্ধারণ করা হয় তার সৌন্দর্যের উপরে এবং কাস্টমারের ডিমান্ড অনুযায়ী। তবে মূল্য ওঠানামা করে তবে জানলে অবাক হবেন। এক একটি ছোট ছোট বাক্স তিনি বিক্রি করেছেন ১১০ টাকায়। এত কম মূল্যে বিক্রি করার জন্য খুবই নামমাত্র লাভ রাখতে পেরেছেন তিনি। এই প্রথমবার বলে সঠিক “প্রাইসিং’ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সহেলী।
advertisement
আরও পড়ুন : ভাইয়ের পাতে দেদার ট্রেন্ডিং কেক পেস্ট্রি! দেদার বিক্রি মিষ্টি দই, ছানার পায়েস, রসমালাইয়ের!
ব্যবসা করতে গেলে একটি “মন্ত্র” রয়েছে প্রতিটি বিজনেস পাঠ্যপুস্তকে, সেটি হল, যদি নিজের দক্ষতাকে একটি সার্ভিসে পরিণত করা যায় তাহলে সেটি একটি সফল ব্যবসা হতে বাধ্য। বাঁকুড়ার গৃহবধূ সহেলী রক্ষিত তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রফেশনালি কেক তৈরি করা শিখে, সার্টিফিকেট নিয়ে নিজের ঘরে বসে এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি! ধীরে ধীরে এখন তৈরি করছেন চকলেট এবং বিয়ের তত্ত্ব। হাতে তৈরি করা “কাস্টমাইজ” করা “ডেজার্ট” তৈরি করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন বাঁকুড়ায়।