আরও পড়ুনঃ বাচ্চা খিটখিটে, খারাপ ব্যবহার করছে? না বকাবকি করে এই কাজগুলি করুন! চরিত্র বদলে যাবে সন্তানের
আইজিএমসি-এর বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক এবং এমডি মেডিসিন, ডাঃ বলবীর সিং ভার্মা বলছেন, সিমলা এবং আশেপাশের এলাকায় ঘন ঘন আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। কখনও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। আবার কখনও প্রচণ্ড রোদ। একবার ঠান্ডা লাগছে তো পরক্ষণেই গরম। এই ধরণের আবহাওয়ায় ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে।
advertisement
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় 37 °C বা 98.6 °F। শরীরের তাপমাত্রা এর উপরে গেলে তাকে জ্বর বলে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি একটি চিহ্ন যে সেই ব্যক্তির শরীর ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ভাইরাল সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক নয়: ডাঃ ভার্মা জানান, ভাইরাল সংক্রমণে গলা ব্যথা, সর্দি, শরীরে ব্যথা, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত ১ থেকে ২ দিন স্থায়ী হয়। তারপর নিজে থেকেই সেরে যায়। এমন পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের দিকে যেতে পারে। আসলে বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
তবে ভাইরাল সংক্রমণ ৩ থেকে ৪ দিন স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সেই অনুযায়ই ওষুধ খেতে হবে। এই রোগে ভাইরাল সংক্রমণ মারাত্মক প্রভাব ফেলে: ডাঃ ভার্মা বলেন, যারা হাঁপানি, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগে ভুগছেন, যারা স্টেরয়েড নেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে।
ভাইরাল এই ধরনের রোগীদের উপর ভাইরাল সংক্রমণ মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। সিজন চেঞ্জের সময় এঁদের মাস্ক পরা উচিত। সকালে হাঁটতে বেরলে বা অন্য কাজের সময়ও মুখ থেকে মাস্ক নামানো চলবে না। এতে সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। তাছাড়া মাস্ক পরলে গরম বাতাস বের হবে, এবং শুধু গরম বাতাসই ভেতরে যাবে, এর ফলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনাও কমে যাবে।