বিছানার চাদর: শীত শেষ। এবার বিছানার ভারি চাদর তুলে ফেলার পালা। বদলে আসুক পাতলা সুতির চাদর। বালিশ, কুশনের ওয়ারও বদলে ফেলতে হবে। গাঢ় নয়, নরম রঙে ভরে যাক ঘরদোর। হালকা গোলাপি, কোমল কমলা, আকাশি নীল কিংবা সাদার উপর হালকা কাজ করা কোনও জিনিস বেশ মানাবে।
আরও পড়ুন: ব্রণর সমস্যায় জেরবার? আলু দিয়েই করুন বাজিমাত! জানুন
advertisement
রঙ: ঘর সাজানোর প্রথম ধাপই শুরু হয় রঙ দিয়ে। হালকা শেড বাছলেই ভালো হয়। সেক্ষেত্রে বেডরুমের কালার হিসাবে বাছা যায় হালকা আর গাঢ় নীলের কম্বিনেশন। ক্রিমের সঙ্গে গ্রিন অ্যাপল। লিভিং রুম রাঙিয়ে তোলা যায় গোল্ডেন ইয়েলো বা হালকা পিঙ্ক দিয়ে। বাচ্চাদের ঘরের জন্য হালকা সি-গ্রিন, কচিকলাপাতা অথবা লাইট পিঙ্ক একেবারে আদর্শ।
জানলার পর্দা: প্রতিটি ঘরে ঝুলুক দু’ধরনের পর্দা। একটি ছোট, একেবারে পাতলা সুতির পর্দা। যা সন্ধ্যায় ঘর আড়াল করবে, কিন্তু হাওয়া খেলার সুযোগ করে দেবে যথেষ্ট। আর অন্যটি সুতির, তবে একটু ভারী। যা টেনে নিলে দুপুরের দিকে আর রোদ ঢুকবে না ঘরে। তবে বাতাস চলাচল করবে যথেষ্ট।
সবকিছু সাদা: সাদা রঙ চারপাশকে উজ্জ্বল করে তোলে। তাই দেওয়াল, জানলা-দরজা থেকে আসবাব, সব কিছুই রাঙিয়ে তোলা যায় সাদা রঙ দিয়ে। এতে ঘর আরও বেশি আলোকোজ্বল হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: তেল ছাড়া তরকারি বানাতে পারেন? হার্ট ভালো রাখতে দারুণ উপকারী, শিখুন
অ্যান্টিক আয়না: সিঙ্কের উপরে রাখতে হবে অর্নেট গিল্ট ফ্রেমের অ্যান্টিক আয়না। এতে ঘর বড় দেখাবে। হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
ঘরে গাছ: ঘরের ভিতর টবে রাখতে হবে কিছু গাছ। চোখের আরাম হবে। আর অন্দরে রাখার মতো গাছ বেশ কয়েকটি রাখলে ঘরও ঠান্ডা থাকবে।
ম্যাট্রেশ বা পাপোস: যথাযথ ম্যাট্রেস আর পাপোস ড্রইংরুম আর বেডরুমের চেহারাই বদলে দিতে পারে। ঘরের রঙ থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি ম্যাট্রেস-পাপোস কেনা যায় তাহলেই ঘরের সাজ সঠিক মাত্রায় সম্পূর্ণ হবে। তবে গরমের জন্য আদর্শ দড়ির ম্যাট্রেস। ঘর হালকা দেখাবে।
সাজানোর জন্য: ফটোফ্রেম, পেইন্টিং, ওয়াল হ্যাঙ্গিং সিজন অনুযায়ী বদলানো সম্ভব, কারণ এই জিনিসগুলির দাম বেশ কম। ছোট ছোট জিনিস হলেও নিয়ম করে এগুলো বদলালে ঘরের লুকেরও পরিবর্তন হবে।