পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের কোনায় কোনায় লুকিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বেলপাহাড়ির আমলাশোলে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় পাহাড় যার নাম ‘বড় পাহাড়’। বড় পাহাড়ের কোলে গড়ে উঠেছে একাধিক হোম স্টে। এই হোম-স্টে গুলিতে রাত্রিযাপন করলে পাহাড়ের কোলে রাত্রিযাপনের অনুভূতি পাওয়া যায়। তার পাশাপাশি বিকেল বেলায় পাহাড়ের কোলে সূর্যাস্ত দেখারও সুযোগ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘রোজ রাতে…! এই মেয়েকে ছেলের বউ করে…’, কুমোরটুলির ট্রলি-কাণ্ডে বিস্ফোরক ফাল্গুনীর শ্বশুর
বসন্ত উৎসবের এই ছুটির দিনগুলিতে কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয় কাছেই বড় পাহাড়ের কোলে সময় কাটানো যেতে পারে। পরিবার বা প্রিয়জনের হাত ধরে সময় কাটানোর পাশাপাশি প্রকৃতির সবুজ ও লাল পলাশের রঙেও রাঙিয়ে নেওয়া যাবে নিজের মনকে। কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চলে আসতে হবে ১৭০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার বেলপাহাড়ি এবং বেলপাহাড়ি থেকে আরও ২৪ কিলোমিটার আমলাশোল।
বড় পাহাড়-সহ আমলাশোলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঝিনুক, ধিতাং, জলতরী, মহুল-সহ একাধিক হোম-স্টে গড়ে উঠেছে। হোমস্টে গুলিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের পরিষেবা দিয়ে থাকে স্থানীয় যুবক যুবতীরা। আমলাশোলের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন মুড়া বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় পাহাড় ‘বড় পাহাড়’ এই আমলাশোলে। বড় পাহাড়ের নীচেই প্রচুর হোমস্টে তৈরি হয়েছে। এই হোমস্টে গুলিতে রাত্রি যাপন করলে সকাল-সকাল পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যায় বহু পর্যটক”। তিনি আরও বলেন, “বড় পাহাড়ের ভেতরে একটি আদিম মানুষের গুহা রয়েছে। সেই গুহাটি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় রয়েছে”। বসন্ত উৎসবের ছুটি আরও স্পেশ্যাল করে তুলতে হলে ডেস্টিনেশন হোক ‘বড় পাহাড়’।
বুদ্ধদেব বেরা