এত সুন্দর পলাশ পশ্চিমবঙ্গের এই লাল মাটির জেলাতেই দেখতে পাওয়া যায়। আর তাইতো এখানে বসন্ত উৎসব ও পলাশ উৎসবে মেতে ওঠে গোটা জেলার মানুষ। বসন্তের ট্যুরিজম পুরুলিয়ায় একেবারেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। বহু পর্যটক এই সময় পুরুলিয়ায় ট্যুর প্ল্যান করে থাকেন। সমস্ত হোটেল, রিসোর্ট ও নেচার ক্যাম্প গুলিতে এই সময় পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দোলে এবার দ্বিগুণ মজা, কলকাতার একদম কাছে ঘুরে আসুন প্রকৃতির স্বর্গ থেকে! খরচ? প্রায় পুরোই ফ্রি
বসন্ত উৎসবের দু-তিন মাস আগে থেকেই প্রায় সমস্ত জায়গাগুলি বুকিং হয়ে যায়। আর পুরুলিয়ার ট্যুরিজমের এ বছরের নয়া সংযোজন হবিট হাউস বা পাতাল ঘর। বাংলায় মধ্যে প্রথম বিট ট্যুরিজমের কনসেপ্টকে বাস্তবায়িত করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলাতেই। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষেরা তাই এখানে ছুটে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে ট্যুরিজমের কর্ণধার বরুণদেব ভট্টাচার্য বলেন, তাদের এই অ্যাডভেঞ্চার ন্যাচার ক্যাম্প মানুষের মনে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। জঙ্গল লাগুয়া তাদের এই প্রপার্টি তাই জঙ্গলের সমস্ত নিয়ম মেনেই এখানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে মথুরাপুরে বিরল দৃশ্য! নবীন-প্রবীণ স্বাক্ষাতে আবেগঘন পরিস্থিতি, যা ঘটল অবিশ্বাস্য
আদিবাসী নৃত্য, ছৌ নৃত্য, আবির খেলা সমস্তটাই থাকছে বসন্ত উৎসবে। সবকিছুই ভীষণ নেচার ফ্রেন্ডলি হতে চলেছে। বসন্ত উৎসবে তাদের ক্যাম্পে সমস্ত বুকিং কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষেরা বরাবরই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়ান। তাদের জন্য একেবারেই আদর্শ ডেস্টিনেশন হল পুরুলিয়ার এই হবিট হাউস। এখানে পর্যটনের স্বাদ অনেকটাই অন্যরকম।
এখানে এলে রক ক্লাইমিং , ফিশিং , ট্রেকিং , ক্যাম্প ফায়ার , নেট ক্লাইম্ব এই সমস্ত কিছুর স্বাদ উপভোগ করা যায়। একেবারেই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে ট্যুরিজমের আমেজ উপভোগ করা যায় এই হবিট হাউসে। তাই অনেকেরই এ-বছর বসন্তের ডেস্টিনেশন হয়েছে পুরুলিয়ার হবিট হাউস তথা পাতালঘর।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





