গত বছর বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে পর্যটক-সহ বাইরের কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে রাস্তায় পর্যটকদের ঘোরাঘুরিতে বাধা ছিল না। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে অবসর নেওয়ার পরে গত ডিসেম্বরে যেমন শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা ফিরেছে তেমন বসন্ত উৎসব ফিরবে। কিন্তু সেই সম্ভবনা নেই।
আরও পড়ুনঃ দোলে পুরুলিয়া পৌঁছে গিয়েছেন নিশ্চই! এই জায়গা ভুলেও মিস করবেন না, অ্যাডভেঞ্চারে ঠাসা
advertisement
এ বছর শান্তিনিকেতন বসন্ত উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে সোনাঝুড়ি অঞ্চলে ২৫ মার্চ। তবে এ বছর শান্তিনিকেতনে দোল উৎসব হবে এই আশায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক থেকেই একে একে হোটেল বুকিং শুরু করেন পর্যটকেরা। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে কবিগুরু লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনে। আর এই কারণেই বহু পর্যটক শান্তিনিকেতনে হোটেল বুকিং করতে গেলে হোটেল পাচ্ছেন না। যদিও বা দু-একটা হোটেল পাচ্ছেন সেগুলি ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত বলে বুকিং করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এই কারণেই বহু পর্যটক বীরভূমের তারাপীঠে হোটেল বুকিং করছে। আবার অনেকেই ভাবছেন দোল উৎসবের দিন সোজাসুজি তারাপীঠ এসেই হোটেল ভাড়া করবেন।
আরও পড়ুনঃ রোজ চিনি খেলে শরীরে কী হয়? ৯৯% মানুষেরই সঠিক ধারণা নেই, চিকিৎসকের বক্তব্যে আঁতকে উঠবেন
তবে তারাপীঠ তো আসবেন কিন্তু জানেন কী তারাপীঠের হোটেল ভাড়া কত এই মরসুমে? এ প্রসঙ্গে তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুনীল গিরি জানান, ‘শনি, রবি, সোম, মঙ্গল পরপর চারদিন ছুটি থাকার কারণে বহু পর্যটক তারাপীঠে ভিড় জমাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তারাপীঠে প্রায় ৬০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক দিনের মতোই সমস্ত হোটেল ভাড়া মোটামুটি একই রয়েছে।”
কোনও কোনও ক্ষেত্রে হোটেল ভাড়া ১০০-২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছর দোল উৎসবে যে ছাড় দেওয়া হয় সেই ছাড় কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না। গত দু-তিন বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য তেমন ভাবে হোটেল বুকিং হয়নি তারাপীঠে। তবে এই বছর সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে সেই কারণে ভিড় হয়েছে এবং আগামী দু-তিনদিনে এই ভিড় আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌভিক রায়