রান্নাঘরের দুই সামান্য উপকরণেই জবাগাছে প্রচুর ফুল আসবে। গাছ বেড়েও উঠবে সযত্নে। দু’টি খালি প্লাস্টিকের বোতলে আলাদা আলাদা করে জলে ভিজিয়ে রাখুন পেঁয়াজের খোসা ও কলার খোসা। দু’দিন জলে ভিজিয়ে রাখলেই মজে গিয়ে তৈরি হবে সার। এ বার ২ লিটার জলে মিশিয়ে নিন ১০০ মিলিলিটার পেঁয়াজের খোসা সার। তার পর ভাল করে ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের খোসার নাইট্রোজন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ জবাগাছের জন্য খুবই উপকারী।
advertisement
এ বার ৭০ মিলিলিটার নিয়ে নিন কলার খোসার সার। ভাল করে ছেঁকে নিয়ে মেশান ওই ২ লিটার জলে। কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ অত্যন্ত উপকারী। এই মিশ্র সার ১০০ মিলিলিটার করে জবা গাছের গোড়ায় দিন। প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে এই সার জবাগাছে দিলে প্রচুর ফুল আসবে। সেভাবে হলুদ হবে না এই গাছের পাতাও।
এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু টিপস জেনে নিন জবাগাছের পরিচর্যায়
গাছ লাগানোর পর পরই কড়া রোদে রাখবেন না৷ কিছু দিন ছায়ায় রেখে সইয়ে নিয়ে তার পর রোদে রাখুন জবার চারাগাছ
সোজা রাখার জন্য বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করতে পারেন
বেশি জল জবাগাছে দেবেন না৷ তাহলে গাছের গোড়া পচে যাবে৷ সপ্তাহে এক দিন গাছের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে পরিমিত পরিমাণে জল দিন৷
আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর আগেই হলুদ কমলা ফুলে ঢেকে যাবে আপনার গাঁদাগাছ! শুধু এভাবে রাখুন, জল দিন এই নিয়মে
জবাগাছে পোকামাকড়ের সংক্রমণ বেশি হয়৷ তাই নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করুন৷ তবে বেছে সেক্ষেত্রে বেছে নিন জৈব কীটনাশক৷