দইয়ের উপকারিতা
প্রথমেই আসা যাক দইয়ের স্বাস্থ্যকর গুণ সম্পর্কে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হজমের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাসের মতো নানান শারীরিক কার্যকলাপে দইয়ের গুণ অনস্বীকার্য। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনের ডায়েটে দইকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। রায়তা, ঘোল বা স্মুদি- নানা ভাবেই দই খাওয়া যেতে পারে। এবারে আসা যাক কোন কোন খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার সঙ্গে বদলে কেন ও কীভাবে বদলে যায় আমাদের মন, জানাচ্ছেন গবেষকরা
মাছ
খাবারের তালিকায় কখনওই দই ও মাছ একসঙ্গে রাখা উচিত নয়। কারণ এই দুটিই প্রোটিনযুক্ত খাবার। যখন প্রাণীজাত প্রোটিনকে ভেজিটেবল প্রোটিনের সঙ্গে একত্রিত করা হয়, তখন তা হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। দুটির সংমিশ্রণে পেটের গণ্ডগোল হতে পারে।
তেলযুক্ত খাবার
নানা ধরনের তেলযুক্ত খাবার যেমন, পরোটা, ছোলে ভাটুরে ইত্যাদির সঙ্গে দই খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। নয় তো আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর গতিতে এগোবে। এতে সারা দিন অলস বোধ হতে পারে।
আম
আমকে সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফলের তালিকায় রাখা হয়। একদিকে পেট গরম করা আম ও অন্য দিকে শীতলতাযুক্ত দই একসঙ্গে আমাদের পেটে গেলে হজম প্রক্রিয়াতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এর থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এই দু'টি খাবার একসঙ্গে আমাদের শরীরে টক্সিন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ, রসুনের খোসার এই উপকারগুলো জানেন? একনজরে দেখে নিন, কাল থেকে আর ফেলবেন না!
পেঁয়াজ
আমের মতোই, পেঁয়াজও গরম। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে ফুসকুড়ি, অ্যাজমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অ্যালার্জি হতে পারে।
দুধ
দুধ এবং দই একসঙ্গে খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি, হার্টবার্ন এবং এমনকি আমাদের শরীর ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ দুগ্ধজাত উভয় পণ্যই ফ্যাটযুক্ত, এর পাশাপাশি এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে।