জানা গিয়েছে, বর্তমানে যুব সমাজ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। নির্দিষ্ট নিয়ম মানলেই শরীর থাকবে সুস্থ। পরামর্শ দিলেন কলকাতার বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শুভ দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শর্করা এবং চর্বিজাত খাবার কম খেতে হবে। আর আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধ ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। লিফটে চড়া এড়াতে হবে। একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তচাপ এবং সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
advertisement
ডাঃ শুভ দত্ত জানিয়েছেন, বাঙালির খাওয়া মানেই ভাত-রুটি দিয়ে পেট ভরানো— এমন স্বভাব বদলে প্রোটিন বেশি, ফলমূল-সব্জি ঠাসা একটা ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। চিনিও এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে এর চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। পাশাপাশি আধুনিক জীবনে আজকাল সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই স্বভাব না বদলালে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কোনও দিন এড়ানো যাবে না। সেইসঙ্গে ব্যায়ামে সময় দিতে না পারলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য এই উপায় অত্যন্ত কার্যকর।
হার্টে সমস্যা না থাকলেও তিন মাসে একবার চেক আপ করান। দেখে নিন কোথাও কোনও গোলযোগ আসছে কি না। যাঁদের হার্টের অসুখ আছে তাঁরা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দিন অকারণে মিস করবেন না।হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা মূলত এই বিষয়গুলির উপর জোর দিলেওবাড়তি সতর্কতার জন্য মাথায় রাখতে পারেন আরও কিছু টিপস।
আরও পড়ুন : কৃমি কমাতে বাচ্চাকে দেদার কাঁচা পেঁপে খাওয়ালে অজান্তেই ডাকছেন বড় বিপদ! ক্ষতির ফাঁদ এড়িয়ে চলুন!
রোজ খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিন। এর পাশাপাশি আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়াও বন্ধ করুন। ঠান্ডা পানীয়তে অ্যাডেড সুগার থাকে। তাই এড়িয়ে চলুন। সুস্থ যৌনজীবন হার্ট ভাল রাখে।এতে শরীর থেকে প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয়, ফলে মানসিক চাপ কমে। হার্টকে তাজা রাখে। ডার্ক চকোলেটের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টকে ভাল রাখে। তবে যথেচ্ছ ডার্ক চকোলেট শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রতি দিন নিয়ম করে রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খান, এতে উপকার পাবেন।