কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁদের প্রাণ রক্ষা পায়, আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাণ হারাতে হয়। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে উৎসবের সময় সব বয়সের মানুষেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
আরও পড়ুন: কমলালেবুর উপাকারিতা তো জানেন, চিকিৎসকের মুখে এই গুণ শুনলে রোজ খাওয়া শুরু করবেন
তবে প্রশ্ন হল উৎসবের সময় বেশি সংখ্যক হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ কী? এই বিষয়ে অ্যাপোলোমেডিক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. অজয় বাহাদুরের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, এটা সত্যি যে উৎসবের সময় বেশি হার্ট অ্যাটাক হয় এবং উৎসবের সময়ই বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাকের রোগী হাসপাতালে আসেন।
advertisement
তিনি বলেন, উৎসবের সময় ওপিডিতে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম থাকে, তবে জরুরি বিভাগ হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীতে ভরে যায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর উৎসবের সময় এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।
আরও পড়ুন: অনিদ্রা থেকে বুকে বসা কফের কষ্ট, অনাদরের এই ফুল প্রাণে বাঁচাবে আপনাকে! জানুন
হার্ট অ্যাটাকের পাঁচটি কারণ
-সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. অজয় বাহাদুর বলেন, উৎসবের সময় এখনও পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বিবেচনা করলে এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে-
যেমন,
উৎসবের সময় ঘুম কম হওয়া
উৎসবের সময় যখন পুরো পরিবার একত্র হয়, তখন সব বয়সের মানুষ উৎসব উদযাপনের জন্য ব্যস্ত থাকেন
উৎসবের প্রস্তুতি
উৎসবের সময় খাওয়া-দাওয়া বা পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরিমাণ কমে যায়, অনেকেই অস্বাস্থ্যকর সব ধরনের খাবার খেতে শুরু করেন
উৎসবের সময় অনেকেই শারীরিক কসরত বন্ধ করে দেন
হার্টের যত্ন
ডা. অজয় বাহাদুর বলেন, উৎসবের সময় আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত যাতে হার্ট ফিট থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম থাকে-
১- কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। উৎসবের সময় ঘুমের সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়।
২- ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং জেগে উঠে একটি নিয়ম তৈরি করা। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠা দরকার।
৪- ঘুম থেকে ওঠার পর পরই ব্যায়াম না শুরু করা।
৪- খালি পেটে ব্যায়াম না করা। প্রথমে ঘুম থেকে ওঠা এবং তারপর হালকা কিছু খাওয়া, তারপর ব্যায়াম শুরু করা উচিত।
৫- শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত ব্যায়াম করা, যেমন প্রাণায়াম। এছাড়াও নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করা দরকার।