আসলে যোগাসনের মূল কথাই হল মননশীলতা। শুধু শারীরিক কসরত নয়, একই সঙ্গে এই আসনে মনটিকেও একাগ্র রাখতে হয়। তাই ছোট বয়স থেকে নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে অবশ্যই শিশুর স্মৃতি তীক্ষ্ণ হয় এবং মনোযোগের ক্ষমতাও বাড়ে।
আরও পড়ুন-দুধে আপত্তি? ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে বেছে নেওয়া যায় এই খাবারগুলো
সূর্য নমস্কার
advertisement
সূর্য নমস্কারে ১২টি কার্যকারী যোগাসন একত্রে রয়েছে। বিভিন্ন দেহভঙ্গিমায় বিভিন্ন ধরনের আসনের মাধ্যমে সূর্য নমস্কার করা হয়ে থাকে। যা শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী।
বৃক্ষাসন
এই আসনটিতে একটি পায়ের উপর ভর করে সমগ্র শরীরের ভারসাম্য রাখতে হয়। এটি শরীরের দেহভঙ্গিও উন্নত করে।
গরুড়াসন
এটি আরেকটি ব্যালেন্সিং পোজ যা দাঁড়িয়ে থেকে অভ্যাস করতে হয়। গরুড়াসন শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি গঠনেও সাহায্য করে।
মণ্ডুকাসন
শিশুদের জন্য শুধু সহজ পোজই শুধু নয়, নিয়মিত মণ্ডুকাসন করলে ছোটদের হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতাও উন্নত হয়।
আরও পড়ুন-এই ৭ উপসর্গ হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ! সময় থাকতেই সতর্ক হন
নটরাজাসন
এটি আরও একটি ব্যালেন্সিং পোজ। নটরাজাসনে পিছনে বেঁকে নটরাজের ভঙ্গিমায় শরীরের ব্যালেন্সের উপরে মনোযোগ দিতে হয়।
বকাসন
এই আসনটি শিশুদের জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারণ বকাসনে হাত ও তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরকে তুলে ধরতে হয়। তবে এটি নিয়মিত সঠিকভাবে করলে যেমন ব্যালেন্সের ক্ষমতা বাড়বে, তেমনই তা শিশুর স্মৃতি বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করবে।
শীর্ষাসন
প্রথম দিকে হয় তো এই আসনটি করতে কারও সাহায্য লাগতে পারে৷ কিন্তু একবার রপ্ত হয়ে গেলে সহজেই শীর্ষাসন করা যায়। শীর্ষাসন শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
বজ্রাসন
বজ্রাসন খুবই ভালো যোগাভ্যাস যা শিশুরা বসে সহজেই করতে পারে। এটি মনকে শান্ত করতে এবং দেহভঙ্গি ঠিক করতে সাহায্য করে।
ধনুরাসন
ধনুরাসন বা ধনুকের পোজ শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমায়। ফলে নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে মানসিক চাপ কমে, পেশি শক্ত হয়৷
বশিষ্ঠাসন
বশিষ্ঠাসন কোর স্ট্রেন্থ এবং পিঠের পেশি যেমন মজবুত করে, তেমনই শিশুদের মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে।