সকালে জলখাবারের সময়: প্রাতরাশে এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়। অর্থাৎ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য। জলখাবারে ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। পাতে রাখতে হবে মিলেট রুটি, উষ্ণ ওটমিল, পোরিজ বা সিদ্ধ ডিম। সকাল ৭টার মধ্যে জলখাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মধ্যাহ্নভোজের আগে পুরো খাবার হজম করতে হবে। তাই প্রাতরাশ খেতে হবে সকাল সকাল।
advertisement
আরও পড়ুন - Viral Video: ও মা কী করছেন যুজবেন্দ্র চাহাল! তা আম্পায়রের সঙ্গে, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
মধ্যাহ্নভোজের সময়: দুপুরে ভারি খাবার খেতে হয়। পাতে যেন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। সুষম আহারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। ভারি এবং পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এই ধরনের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাড়ে ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে হবে।
স্ন্যাক্স: সকালের জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মধ্যে খিদে পেলে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা হয়, এটাই ফল খাওয়ার সঠিক সময়। এই সময়েই ফলের সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। মধ্যাহ্নভোজ বা ভারি খাবারের পর পরই ফল খাওয়া উচিত নয়। তবে এটা সকাল ১১টার মধ্যে খেতে হবে, তার পরে নয়।
সন্ধ্যার জলখাবার: সন্ধ্যার ডায়েটে ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে পেট ভাল থাকে। রাতে খাবার আগে পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে। সন্ধ্যা নাগাদ কখনও কখনও ক্লান্ত লাগে, খিদেও পায়। এক্ষেত্রে ফলের রস দারুণ কার্যকরী। সেরা ফলাফলের জন্য বিকেল ৪টের মধ্যে ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
নৈশভোজ: রাতের খাবার মানে দিনের শেষ খাবার। এ সময় হালকা খাওয়াদাওয়া করা উচিত। পেট হালকা থাকলে গ্যাসের সমস্যা কম হবে। পেট ফুলে যাওয়া, শরীর আইঢাই করার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। অর্থাৎ সাড়ে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে। মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের মধ্যে যাতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার ব্যবধান থাকে, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)