আসলে মানুষ জীবনযাত্রা-জনিত নানা ভুল করে থাকে, যেগুলি যৌন জীবনে বিপুল সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ফলে এটাই পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলির বিষয়ে। যাতে তার থেকে বিরত থাকা যায়।
চাপ:
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আসলে বাড়ির কাজ এবং অফিসের কাজ- একসঙ্গে তাল মিলিয়ে করতে গেলেই মানসিক চাপ বাড়বেই। আর এই বিষয়টা কিন্তু যৌন জীবন শেষও করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, মানসিক চাপের কারণে কোনও ব্যক্তি কিছু বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করতেই পারেন না। এতে বাড়ে কর্টিসলের মাত্রা, যা মেজাজটাই নষ্ট করে দিতে পারে। আর এর ফলেই টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- কেমন দেখতে সূর্যের পৃষ্ঠদেশ ? দেখে নিন সেই ছবি
ঘুম:
ঘুমের অভাব কিংবা অনিদ্রা ডেকে আনে নানা বিপদ। এমনকী বহু রোগের পিছনে কারণ হিসেবে অনিদ্রাকেই দাবি করা হয়। তাই বলা হয় যে, ঘুম ভাল হলে দিনটাও ভাল ভাবে কাটে। আসলে ঘুমের অভাবের জেরে ক্লান্তি ঘিরে ধরে। আর দিনের শেষে ক্লান্ত বোধ করলে তার প্রভাব তো যৌন জীবনে পড়বেই। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবস্থা নিতেই হবে। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে জীবনযাপনের ধারা বদলাতে হবে এবং সেই সঙ্গে বদল আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জেরে শরীরের হরমোনে ভারসাম্যহীনতা আসতে পারে। আর দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা মানেই যৌনতায় অনিচ্ছা। যদিও কিছু মানুষের শরীরে অল্প পরিমাণে টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন হওয়ায় তাদের যৌন ইচ্ছেটা সে-ভাবে জাগে না। আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
দাম্পত্য কলহ:
বহু দম্পতিই রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকে। আর এই ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট ব্যক্তিগত সম্পর্কের পাশাপাশি যৌন জীবনেও প্রভাব ফেলে। তাই অশান্তি থাকলেও তা মিটিয়ে নিয়ে একে অপরকে ভাল রাখতে হবে। এতে প্রেম-ভালবাসা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে যৌন জীবনও সুস্থ-স্বাভাবিক থাকবে।
যৌন জীবনে সন্তুষ্টির অভাব:
অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে দেখা যায়, এক জন নিজের সঙ্গীকে সন্তুষ্ট করতে পারছেন না। কিংবা সঙ্গীর শারীরিক চাহিদা ঠিকমতো মেটাতে পারছেন না। এমনটা হলে নিজের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে হবে এবং একে অপরের প্রতি যত্নশীলও হওয়া জরুরি। এ-ছাড়াও এর পিছনে শারীরিক দুর্বলতাও একটা বড় কারণ। তার জন্য ভাল আহার গ্রহণ করা উচিত।