তাহলে উপায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়ায়। পথেঘাটে লিফলেটে যেমন লেখা থাকে বয়ঃসন্ধির দোষ ইত্যাদি প্রভৃতি, ওদিকে ব্যাপারটা মোটে যাচ্ছে না। যাচ্ছে বয়ঃসন্ধির ঢের আগে থেকে শুরু করে বেশ বড় বয়স পর্যন্ত যে খাদ্যাভ্যাস চলে, তার দিকে। এর জেরে শুক্রাণু উৎপাদন কমে, লিঙ্গশৈথল্যের দোষ দেখা দেয়, ফলে সঙ্গমও হয় না, সন্তানও নয়।
advertisement
অতএব, কর্তব্যটা কী? কী খাওয়া ছেঁটে ফেলতে হবে?
১. সিগারেট
ধূমপান ছাড়তে হবে। ধোঁয়ায় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে, ফলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। তাই এখন থেকে আর সময় পেলেই ফস করে একটা ধরিয়ে ফেলা যাবে না। সঙ্গমের আগে আর পরে তো কখনওই নয়।
আরও পড়ুন- ‘‘তোমার পাশে সবসময়ে থাকব...’’ বিরাটের উদ্দেশ্যে পোস্ট অনুষ্কার
২. গরম জলে স্নান
শরীর গরম ওই সময়ে হয়ে ওঠে ঠিকই, কিন্তু অন্য সময়ে তাকে ঠান্ডা রাখলে তবেই শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়ে। তাই রোজ গরম জলে স্নানের অভ্যেস থাকলে ওটি ছাড়তে হবে। গরম জলের সংস্পর্শে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে বীর্যোৎপাদন কমিয়ে দেয় যে!
৩. তেল-মশলাদার খাবার
বিরিয়ানি? চাঁপ? চলবে না? এগ রোল? ওটাও নয়? আচ্ছা, তাহলে চিজ? উঁহু, সঙ্গে আচার, সয়া সস, বেকিং সোডা বেশি আছে এমন খাবারও নয়। আসলে রিচ খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়, যা রক্তসঞ্চালনের গতি ধীর করে দিয়ে লিঙ্গশৈথিল্যের বিপদ ডেকে আনে।
৪. পানদোষে লাগাম
মদ তো ছাড়তেই হবে, এ আর বেশি কথা কী! তবে কি না সঙ্গে ছাড়তে হবে কোল্ডড্রিঙ্কস, মিষ্টি মিষ্টি ড্রিঙ্কসও। এগুলো হার্ট ডিজিজ, ব্লাড প্রেশারের কারণ, রক্তসঞ্চালনও কমায়। ফলে, ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
৫. মাংসটাও বাদ
আসলে এখন তো আমরা বেশিরভাগ সময়েই ফ্রিজে রাখা মাংস খাই বা প্রসেসড মিট খাই, ওতে পুষ্টিগুণ থাকে না। এছাড়া প্রসেসড মিটে কিছুটা হলেও হরমোনাল রেসিডিউ থেকে যায়, যা পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তা-ই হয় একেবারে বাদ, নয় তো ন'মাসে-ছ'মাসে একবার খাওয়া যেতে পারে।
এত কিছু করেও যদি সন্তান না হয়, তাহলে কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উচিত হবে।