ছাবিলের ইতিহাস: মোঘলদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল চান্দু শেখের। তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব। ফলস্বরূপ তাঁকে বন্দি করে মোঘলরা। শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। উত্তপ্ত লোহার পাটের উপর বসিয়ে তাঁর শরীরে গরম বালি ঢেলে দেয় মোঘল সেনারা। শুধু তাই নয়, টানা পাঁচ দিন তাঁকে ফুটন্ত জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। চলে আরও নানা অত্যাচার। তাঁর সারা শরীরে ফোসকা, পায়ে ফোসকা, হাঁটতে পারছেন না, বসতে পারছেন না। কিন্তু তার পরেও গুরু অর্জন দেবকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারেনি মোঘলরা। গরমে গুরু অর্জন দেবকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমজনতার জন্য জন্য ছাবিল তৈরি করে শিখরা।
advertisement
আরও পড়ুন - Cricket Video: অযথাই বিপক্ষের ক্রিকেটারের নিতম্ব লক্ষ্য করে বল ছুঁড়লেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট
স্বাস্থ্যকর পানীয়: জুন মাসের প্রচণ্ড গরমে ঘামতে ঘামতে পিচ গলা রাস্তায় হাঁটার সময় কেউ যদি হাতে বরফ ঠান্ডা ছাবিল তুলে দেয়, সেটা ঈশ্বরের আশীর্বাদই মনে হবে। এই শরবত কেবল শরীর ঠান্ডা করে তাই নয়, শক্তিও দেয়। এই পানীয়ের শীতল বৈশিষ্ট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি পাচনতন্ত্রের যত্ন নেয়। শুধু তাই নয়, ছাবিল ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং শরীরের ফোলাভাব নিরাময়েও সাহায্য করে। তাই গরমকালে অনেক শিখ জলের বোতলে ছাবিল ভরে কাজে বের হন।
বাড়িতে ছাবিল বানানোর পদ্ধতি: বাড়িতে ছাবিল তৈরি করা খুব সহজ। এ জন্য লাগবে ঠান্ডা জল, দুধ, এবং গোলাপ জল। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বড় ভালোবাসায় ভরা একটা যত্নশীল হৃদয়। নিখুঁত ছাবিল তৈরি করতে পরিমাপও গুরুত্বপূর্ণ। ৮০ শতাংশ জল এবং ২০ শতাংশ দুধ মেশাতে হবে। এই শরবতটা ঠান্ডা এবং ট্যালটেলে হওয়াটা জরুরি। রেসিপিতে রুহ আফজা ব্যবহার করা যায় কারণ এই গোলাপ জলের সিরাপটাই বাজারে সহজে মেলে। একটা বড় পাত্রে সবক'টা উপাদান নিয়ে ভালো করে নাড়লেন ছাবিল প্রস্তুত। এবার গ্লাসে কয়েকটা আইস কিউব দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।