নিরামিষ খাবার খাওয়ার উপকারিতা কী?
নিরামিষ খাবার খাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। নিরামিষ একপ্রকার সুষম খাদ্য, এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ তন্তু, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, সম্পৃক্ত স্নেহপদার্থ, ও প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক পদার্থ। এই কারণে নিরামিষভোজী মানুষের মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরলজনিত বা নিম্ন রক্তচাপজনিত কোনও রোগ দেখা যায় না। এমনকী এইসব মানুষের ক্ষেত্রে হৃদরোগের সম্ভাবনাও অনেক কম হয়।
advertisement
নিরামিষ খাবার খুব সহজপাচ্য এবং এই সব খাদ্য রান্না করাও বিশেষ সুবিধাজনক। এমনকী অর্থনৈতিক ভাবেও আপনাকে সাশ্রয় করায়। কারণ, মাছ-মাংস থেকে সব্জির দাম সব সময়ই কম।
আমিষভোজীরা প্রায়শই ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভোগেন। যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি, তাঁরা যদি নিরামিষ ভোজন করা শুরু করেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন। এর প্রধান কারণই হল, সুষম নিরামিষ খাদ্য মানুষের শরীরে যেমন পুষ্টি যোগায় তেমনি রক্তে শর্করা ও ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। শাকসবজিতে ক্ষতিকারক ফ্যাট থাকে না। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা দেখা দেয় না।
গবেষকদের মতে, আমিষাশী মানুষদের তুলনায় নিরামিষাশী মানুষের অনেক বেশি সুখী থাকেন। আমিষাশীদের তুলনায় নিরামিষাশীদের মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি অনেকটাই বেশি থাকে এবং তাঁরা অনেকটাই সহজ জীবনযাপন করতে সক্ষম। সতেজ সবজি গ্রহণে শরীর ও মনে অনেক বেশি সতেজটা বজায় থাকে। যদি এই সবজি জৈব উপায়ে উৎপাদন করা হয় তাহলে তা আমাদের শরীরের সতেজতাকে আর বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের চোখের ছানির সমস্যার সৃষ্টির জন্য অনেকটাই দায়ী। দেখা গিয়েছে, নিরামিষাশী মানুষদের চোখে ছানির সমস্যার শতকরা পরিমাণ আমিষাশী মানুষদের তুলনায় অনেকটাই কম।
দই পটলের নিরামিষ রেসিপি
উপকরণ: পটল ১০ টা, দই ১৫০ গ্রাম, আদাবাটা ২ চা-চামচ, চিনি ২ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, গরম মশলা কিছুটা, তেজপাতা ২ টো, জিরে কিছুটা (ফোড়ন দেওয়ার মতো), সরষের তেল ভাজার জন্য, ভালো ঘি ২ চা-চামচ, কিশমিশ ১৫ গ্রাম, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হিংগুঁড়ো ১ চিমটে।
প্রণালী: পটলের খোসা ছাড়িয়ে দু-দিকে একটু করে কেটে দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে পটলগুলো ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে আরও ২৫ গ্রাম তেল দিন। জিরে, গরম মশলা, হিং, তেজপাতা ফোড়ন দিন। উপরে ঘি দিয়ে দেবেন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে দই, আদাবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো ফেটিয়ে কড়াইতে জল দিন। নুন, চিনি ও কিশমিশও দেবেন। খুন্তি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। ভাজা পটলগুলো দিয়ে, মাখামাখা হলে নামিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন: পেট ও মন ভরাতে এই সুস্বাদু নিরামিষ বিরিয়ানি খান, স্বাদে কোনও অংশে কম না!