আলোচনা করতে হবে
মজার ছলে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ধূমপান নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে ধূমপান বিষয়ে তারা আদৌ কতটা কী জানে। এই অভ্যাস যে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সেটা বুঝিয়ে বলতে হবে। অনেক বাবা-মা স্পর্শকাতর বিষয় বলে এই আলোচনা এড়িয়ে চলেন, কিন্তু ছেলেমেয়েরা কী ভাবছে সেটাও জেনে নেওয়া দরকার।
advertisement
না বলতে শেখাতে হবে
টিনএজ ছেলেমেয়েরা বন্ধুবান্ধবদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাবা-মায়ের দায়িত্ব হল ছেলেমেয়েদের এক্ষেত্রে না বলতে শেখানো। কোনও সামাজিক জমায়েতে কেউ যদি সিগারেট হাতে ধরিয়ে দেয়, তাহলে যেন না বলার মতো মনের জোর থাকে, সেটা বুঝিয়ে বলতে হবে।
স্বাস্থ্যের বিষয়ে জোর দিতে হবে
অনেক ছেলেমেয়ে মনে করে যে ই-সিগারেট, ক্যান্ডি ফ্লেভার সিগারেট বা হুকা ইত্যাদিতে কোনও স্বাস্থ্যহানি হওয়ার আশঙ্কা নেই। ব্যাপারটা একেবারেই তা নয়। যে কোনও রকমের নেশাই খারাপ। তাই ধূমপানের প্রভাব ফুসফুসের উপরে কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা বুঝিয়ে বলতে হবে। তাছাড়া প্যাসিভ স্মোকিংও যে একই রকমভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, সেটাও বলে রাখতে হবে।
টাকার হিসেব রাখতে হবে
অঙ্ক কষে ছেলেমেয়েদের দেখাতে হবে সিগারেট এবং ই-সিগারেটের জন্য কতটা অর্থ প্রতি দিন ব্যয় হচ্ছে। এইভাবে মাস ও বছরের হিসেবও দেখাতে হবে। এই সূত্র ধরেই ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে যে এই টাকা জমানো থাকলে তারা আরও অনেক ভালো জিনিস ক্রয় করতে পারবে।
ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কেন
কিছু ছেলেমেয়ে নিজেদের বিদ্রোহী সত্ত্বাকে তুলে ধরতে ধূমপান শুরু করে। দায়িত্ব নিয়ে তাদের বোঝাতে হবে যে সিগারেটের বিজ্ঞাপন এমন ভাবেই তৈরি হয় যাতে সবাই আকর্ষিত হয়। তাদের দেখাতে হবে যে সিনেমার দৃশ্যেও ধূমপান থাকলে নিচে সতর্কতা প্রচারিত হয়।
নিজেকেও ধূমপান ছাড়তে হবে
একজন বাবা বা মায়ের যদি ধূমপানের অভ্যেস থাকে তাহলে সেটা ছাড়তে হবে। ছেলেমেয়েরা বাবা-মাকে ধূমপান ছাড়তে দেখলে অনুপ্রাণিত হবে।
একটি সিগারেটও ক্ষতিকর
সন্তানকে বোঝাতে হবে একটি সিগারেটও ধূমপানে আসক্ত করতে পারে। তাদের বলতে হবে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী কিশোর বয়স থেকে এই অভ্যাস শুরু করে এবং পরে সেটা ছেড়ে দেওয়া একটি কঠিন কাজ হয়ে যায়।
বাবা-মা হিসাবে ছেলেমেয়েদের সমর্থন করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ধূমপান সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাদের ধূমপান থেকে দূরে রাখতে হবে; তাদের একটি সুখী এবং সুস্থ ভবিষ্যত দিতে হবে।