জোয়ানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে মরশুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তা ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। গোলমরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। সঙ্গে এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট গলা ব্যথা, বন্ধ নাকের সমস্যা নিমেষে নিরাময় করে। পাশাপাশি বদহজম, গ্যাসের সমস্যা এবং ফোলাভাব কমাতেও এগুলো দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে বউবাজারে নতুন বিপর্যয় আটকাতে 'কামান দাগা' ছাড়া উপায় নেই
advertisement
জোয়ান-গোলমরিচের কাড়া: এই কাত্থ তৈরি করতে মাঝারি আঁচে ২ কাপ জল গরম করে নিতে হবে। এরপর তাতে দিতে হবে ১ টেবিল চামচ জোয়ান এবং কালো মরিচ। জল ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে গ্যাস নিভিয়ে তাতে যোগ করতে হবে সামান্য মধু এবং আধ চা চামচ লেবুর রস। ব্যস কাত্থ তৈরি। দিনে ২ বার এটা খেলেই শরীর থাকবে তরতাজা।
ওজন হ্রাস: ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন কুসুম গরম জলে সমপরিমাণ জোয়ান এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পান করতে হবে। জোয়ানে ফাইবার রয়েছে। তাই পেট ভরা থাকে। আর গোলমরিচে রয়েছে পিপারিন। এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই কাত্থ খেলে ওজন কমবে দ্রুত।
পেটের জন্য ভাল: এই কাত্থ পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জোয়ান গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড এবং পাচক এনজাইমগুলিকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, গোলমরিচে থাকা পিপারিন হজমশক্তি বাড়ায়।
গ্যাস থেকে মুক্তি: প্রায়ই গ্যাসের সমস্যায় ভুগলে জোয়ান আর গোলমরিচের গুঁড়ো খেতে হবে। জোয়ানে থাইমল নামক একটি যৌগ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। অন্য দিকে, কালো মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। গ্যাস থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পেতে জোয়ান আর গোলমরিচ পিষে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর এতে এক চিমটে রক সল্ট মিশিয়ে শুধু কিংবা গরম জলের সঙ্গে খাওয়া যায়।
ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসায়: ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসায় এই কাত্থ মহাষৌধ। দুটি মশলাই ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। শুধু খাওয়ার আগে একটু মধু মিশিয়ে নিতে হবে, না হলে তেঁতো লাগবে।
জয়েন্টের ব্যথায়: জয়েন্টে ব্যথা থাকলে এই কাত্থ অবশ্যই খেতে হবে। গোলমরিচে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর জোয়ানে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। তাৎক্ষণিক ব্যথা উপশমের জন্য দুটি মশলা গুঁড়ো করে সামান্য জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগানো যায়। ভাল ফল মেলে।