পেরোনিজ ডিজিজ কী: মায়ো ক্লিনিকের মতে, পেরোনিজ ডিজিজ হল একটি নন-ক্যানসার অবস্থা। এটা ফাইবারস স্কার টিস্যু থেকে লিঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যৌনাঙ্গে তীব্র ব্যথা হয়। অনেক সময় লিঙ্গ বেঁকে যায়। ইরেকশনের সময়েও তীব্র যন্ত্রণা হয়। পেরোনিজ ডিজিজ অত্যন্ত বিরল একটা রোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ০.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং ৪০ বছর বয়সী ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুরুষ এতে আক্রান্ত হন।
advertisement
আরও পড়ুন - ও মা গো কী সাহস! কামড়েছিল সাপ, সেই সাপ ধরে নিয়ে সোজা হাসপাতালে বাড়ির বউ
এই রোগ বিরল হলেই উদ্বেগজনক। কারণ এটা মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। ২০১৩ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ ম্যানেজড কেয়ারে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পেরোনি ডিজিজের অধিকাংশ রোগীই বিষণ্ণতায় ভোগেন। এর প্রধান কারণ, এই রোগে আক্রান্ত হলে যৌন মিলন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেকে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকারও হন। ফলে মানসিক চাপ তৈরি হয়।
এমন হলে সতর্ক হতে হবে: মায়ো ক্লিনিকের মতে, পেরোনিজ ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তির লিঙ্গ উপর দিক, নিচের দিক কিংবা একপাশে বেঁকে যেতে পারে। তাই এমন কিছু দেখলে সতর্ক থাকতে হবে। অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।
অন্যান্য লক্ষণ: লিঙ্গ বেঁকে যাওয়ার পাশাপাশি পেরোনিজ রোগের অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে লিঙ্গের ত্বকের নিচে দাগ, ইরেকটাইল ডিসফাংশন, লিঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া, পেনাইলে ব্যথা এবং লিঙ্গের অন্যান্য বিকৃতি।
এই বিরল রোগের কারণ কী: এই রোগ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লিঙ্গে প্লাক তৈরি হলে পেরোনিজ ডিজিজ হয়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, ‘মনে করা হয়, পেরোনি রোগটা সাধারণত লিঙ্গে বার বার আঘাতের ফলে হয়। যেমন যৌন মিলনের সময়, খেলাধুলো করতে গিয়ে বা দুর্ঘটনায় লিঙ্গে আঘাত লাগলে এই রোগ হতে পারে’।
কখন ডাক্তার দেখাতে হবে: উপসর্গগুলো পেরোনিজ ডিজিজের সঙ্গে মিলে গেলে ডাক্তার দেখানো উচিত। এছাড়াও যৌন মিলনে অক্ষমতা, ইরেকশনে সমস্যা, পেনাইলে ব্যথা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
