হলিডে-হার্ট সিনড্রোম কী?
এধরনের সমস্যা বছরের যে কোনও সময়ই দেখা যেতে পারে। কিন্তু বিশেষত ছুটির মরশুমে মানুষের মধ্যে হই-হুল্লোড় করার প্রবণতা বাড়ে। সঙ্গে থাকে দেদার খাওয়াদাওয়া আর মদ্যপান। অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার ছুটির মরশুমে খেয়ে ফেলা মোটেও উচিত নয়। তার উপর মদ্যপান বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: একের পর এক দোকানে চুরি, সিসিটিভিতেও ধরা পড়ছে না চোর! হুগলিতে চাঞ্চল্য
advertisement
কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে?
আসলে এই উপসর্গকে একটি সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া বা মদ্যপান করলে অনেক সময় হৃদস্পন্দনের দ্রুততা, ক্লান্তি, মাথাঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতেই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। অন্যথায় বড় বিপদ আসতে পারে।
সাধারণত হলিডে-হার্ট সিন্ড্রোম মারণ নয়। তবে তা ফেলে রাখলে বা অবহেলা করলে হৃদরোগে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। অ্যারিদমিয়ার দিকেও চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরীর মতো দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির, অপেক্ষা আর কয়েকদিনের!
বড়দিনের বিপদ
একটি স্যুইডিশ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বড়দিন ও বর্ষশেষের সময় অনেকটা বেড়ে যায় হৃদরোগের ঘটনা। গত ১৬ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, অন্য ছুটির দিন, খেলাধুলোর সময় বা অন্য যে কোনও সময়ের থেকে বর্ষ শেষের সপ্তাহে রোগাক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ।
শুধু তাই নয়, বছরের ৫২ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে ওই গবেষক দল সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে সোমবার সকাল ৮টার আশপাশে সব থেকে বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারণটা হতেই পারে সপ্তাহান্তিক ছুটিতে মদ্যপানের আধিক্য।
কী করতে হবে?
চিকিৎসকরা বলেন, যত আনন্দই করুন না কেন নিজের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করা যাবে না। মাত্রাতিরিক্ত ভাবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন নেই।
তাছাড়া, আনন্দ হুল্লোড়ে মজে গিয়ে ব্যায়াম শরীরচর্চা ছেড়ে দিলেও হবে না।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)