সেই পানেরও শতাব্দী পেরিয়ে রূপান্তর ঘটেছে। মিষ্টি মশলা দেওয়া বা জর্দা দেওয়া বা সাদা পানের মোহ পেরিয়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়েছে চকোলেট পানও। একেবারে হালের সংযোজন ফায়ার পান। মিষ্টি মশলায় ঠাসা, আগুনে মোড়া এই পান সযত্নে ক্রেতার মুখে দিয়ে দেন বিক্রেতা। তার নানা ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। চাহিদাও অতএব তুঙ্গে, অনেক শপিং মল, মেলা আলো করে এই ফায়ার পানের পসরা। কিন্তু, যতই লোভনীয় হোক, আদতে কি এই পান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল? সে কথাই এবার আমাদের জানিয়েছেন ডা. মীরা বাত্রা।
advertisement
ডা. মীরা বাত্রা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তিনি আইআইটি কানপুরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এমবিবিএস ও ডিসিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ৫০ বছর ধরে মানুষের চিকিৎসা করছেন। ফায়ার পান সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মীরা বাত্রা বলেন যে এতে উপস্থিত রাসায়নিক বা হোয়াইটনার গ্যাস্ট্রাইটিস এবং ডিওডেনাইটিস ডেকে আনতে পারে, এর থেকে পেট এবং ডিওডেনামের প্রদাহ হতে পারে। বিশেষ করে, এই পান পেপটিক ডিজঅর্ডার বাড়ায়, যার কারণে এটি আমাদের পাকস্থলীর টিস্যুর ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
ডা. মীরা বাত্রা লোকাল ১৮-কে আরও বলেন যে তরল নাইট্রোজেন এই আগুনের পান তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। তরল নাইট্রোজেন এই পানের উপরে ঢেলে দেওয়া হয়, যা সেবনের পরে আমাদের পেটের টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে। তাই বাচ্চাদের এই পান খাওয়া কখনওই উচিত নয়, কারণ এটি তাদের পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিদেরও ভাল থাকতে চাইলে এই ধরনের পান খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।