মল থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীর আশপাশে থাকা ত্বকের সংস্পর্শে এলে তা মূত্রনালীতে প্রবেশ করে। ফলে মূত্রনালী এবং মূত্রাশয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে যা কিডনির দিকেও অগ্রসর হয়। সময়ে রোগ ধরা পড়লে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে সংক্রমণের চিকিৎসা করা হয়। ফলে জটিলতা অনেকাংশে কমানো যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের কিডনির অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান এবং বিশেষ টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাচ্ছেন করলা? এই ভুল করবেন না, সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে সুগার, বলছেন বিশেষজ্ঞ
ইউটিআই-এর সাধারণ কয়েকটি উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল – মূত্রত্যাগ করার সময় জ্বালাপোড়া ভাব অথবা বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা। এর পাশাপাশি থাকতে পারে কোমরের কাছে যন্ত্রণা, পেট ব্যথা। এগুলো অবশ্য একটু বেশি বয়সে দেখা যায়। তবে নিম্নোক্ত কিছু উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরল দূর হবে এই এক ফলে! কমবে ব্লাড প্রেসারও
১. ওজন বৃদ্ধিতে সমস্যা। আসলে অনেক সময় ক্ষুধার অভাবের সঙ্গে ওজন হ্রাসের বিষয়টা যুক্ত থাকে।
২. পাতলা মল এবং বমি। এটা কিন্তু সব ক্ষেত্রে পেট খারাপের উপসর্গ না-ও হতে পারে। জ্বর, বমি, পাতলা মলের মতো উপসর্গ থাকলে সেটা ইউটিআই-এর উপসর্গ হতে পারে।
৩. তীব্র জ্বর। এই জ্বর যদি ৪৮ ঘণ্টারও বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা কাঁপুনি আসে, তাহলে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. বিছানা ভিজিয়ে ফেলা। টয়লেট ট্রেনিংপ্রাপ্ত কোনও শিশু যদি বারবার বিছানা ভিজিয়ে ফেলে, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
৫. যৌনাঙ্গের আশেপাশে ব়্যাশ। এমন উপসর্গের সঙ্গে জ্বর থাকতেও পারে আবার না-ও থাকতে পারে। এর পাশাপাশি যদি দুর্গন্ধযুক্ত ঘোলাটে প্রস্রাব হয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
ইউটিআই-এর ঝুঁকি কমানোর উপায়:
১. হাইজিনের বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ডায়পার বারবার বদলাতে হবে, বাচ্চা মলত্যাগ করলে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে হবে ইত্যাদি।
২. যে বাচ্চারা স্কুলে যায়, তাদের বেশি করে জল খেতে বলতে হবে। প্রস্রাবের বেগ এলে তা ত্যাগ করতে হবে। প্রস্রাব চেপে রাখা উচিত নয়।