বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফল কাঁঠাল বঙ্গভূমেও তো বটেই অসম, ত্রিপুরা, কেরল ও তামিলনাড়ুতেও যথেষ্ট প্রিয়। সারা দেশের মধ্যে কেরল কাঁঠাল উৎপাদনে প্রথম। অসমেও নানা জাতের কাঁঠাল গাছ জন্মায়। বেশ কিছু ধরনের কাঁঠাল পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গেও। মূলত বর্ষার ফল কাঁঠাল পাকার আগে এঁচোড় হিসেবেও রান্না করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও অশান্তির আশঙ্কা? কমিশনের কড়া নজরে ভাঙড়-ক্যানিং, বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
advertisement
তবে, আমরা যেটা জানি না, তা হল কাঁঠালের বীজেও প্রচুর গুণ রয়েছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে কাঁঠালের বীজ। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আগে প্রায়ই দেখা যেত বাড়ির উঠোনে, ছাদে এমনকি, জানলায় যতটুকু রোদ আসে, তার মধ্যেই বাঙালি কাঁঠালের বীজ শুকোতে দিত। কারণ, এই কাঁঠালের বীজ প্রোটিনে সমৃদ্ধ। মসুর ডাল দিয়ে এই বীজ রান্না করে খেলে, তা একদিকে যেমন দারুণ সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর। কাঁঠালের বীজ ভেজে, গোলমরিচ দিয়ে তরকারি রেঁধেও খেয়ে থাকেন অসমের বাসিন্দারা।
অসমের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে খাদ্য হিসেবে কাঁঠালের বীজ ব্যবহার করেন। কাঁঠালের বীজ পুড়িয়ে লবণ, তেল, ভিনেগার এবং পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করেও নেওয়া হয় অনেক জায়গায়। বর্ষাকালে কাঁঠাল পাকার সময়ই এই বীজ সংগ্রহ করে শুকিয়ে রাখা যায় বেশ কয়েকদিন। তারপর সেই বীজ তরকারি হিসেবে রান্না করে নেওয়া যায়। কাঁঠাল বীজে স্যুপও অসমে খুব জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: হাতের পাঁচ ৩৩৭ নিয়েই কাজ শুরু কমিশনের! কোন কোন জেলায় বিশেষ নজর? রইল বিস্তারিত তালিকা
তবে শুধু খাবার হিসেবে নয়। কাঁঠালের বীজ ব্যবহার করা যায় ফেসপ্যাক হিসেবেও। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী এই বীজ। দেখে নেওয়া যাক—
১. প্রথমে কয়েকটি শুকনো কাঁঠালের বীজ সামান্য দুধ ও মধুতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২. তারপর সেগুলি ভাল করে পিষে একটি মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগাতে হবে।
৩. কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিয়ে ভাল করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রাচীন কাল থেকেই এর ব্যবহার রয়েছে।