ফোকলা হাসির ফাঁকে লুটিয়ে আদর, আবদার....ঘুম, খিদে সবেতেই মায়ের দুধের প্রশ্রয়...তবে কেন শিশুকে স্তন্যপান করাতে এত রাখডাক ? কিছু ছবি সত্যি আমাদের নতুন করে ভাবায়।
পার্লামেন্ট চলাকালীন সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে নজর কাড়েন অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর ল্যারিজা ওয়াটর্স ৷ পার্লামেন্টের মধ্যে সন্তানকে স্তন্যপান করান কানাডার সাংসদ জিনেট টেলর-ও। অন্যদিকে, কলকাতায় সাউথ সিটি মলে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে চরম অপমানিত হতে হয় এক মা-কে। তাঁকে শৌচালয়ে গিয়ে স্তন্যপান করানোর পরামর্শ দেন নিরাপত্তারক্ষী।
advertisement
হইচই হতেই পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। কয়েকটি শপিং মল, স্টেশন, কিছু অফিসে তৈরি হয় মাতৃদুগ্ধপান কক্ষ। তবু কি মনের আগল খুলেছে সমাজ? এগিয়ে আসছেন কি সব মা ?
কেউ বলছেন, ব্রেস্টফিড করালে ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে। কারও বক্তব্য, মাতৃকালীন ছুটির মেয়াদ কম। বেশিরভাগ অফিসেই বেবি-সিটিং-এর ব্যবস্থা নেই। তাই সন্তানদের ব্রেস্ট ফিড করা সম্ভব হয় না।
মায়ের দুধ পুষ্টিতে ভরপুর। প্রথম ছ'মাস মাস্ট। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আজ টিনড মিল্কে মায়ের গন্ধ খোঁজে অবুঝ শৈশব। আর এতেই বাড়ছে অপুষ্টির বিপদ।
পরিসংখ্যান বলছে, শহরের সত্তর শতাংশ মা সন্তানকে স্তন্যপান করান। তিরিশ শতাংশ এগিয়ে আসেনি আজও। আরেকটু কি সচেতন হওয়া যায় না।?
