সম্প্রতি সেই সাফল্যই উদযাপনের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিল সিএমআরআই। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এই সার্জারির মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীরাও। সিএমআরআই-এর অর্থোপেডিক বিভাগের ডিরেক্টর এবং এইচওডি ডা. রাকেশ রাজপুতের নেতৃত্বে চিকিৎসক দল এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, মাত্র দেড় বছরে উন্নত প্রযুক্তির রোবোটিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি কীভাবে অগণিত রোগীকে নতুন জীবনদান করেছে, সেই প্রসঙ্গটাই তুলে ধরেছেন তাঁরা।
advertisement
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন হয় নাচের মাধ্যমে। নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই সার্জারির মাধ্যমে নতুন জীবন লাভ করা এক রোগী। এর পরেই ছিল র্যাম্প ওয়াক। এখানেও অংশ নিয়েছিলেন রোগীরা। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে এই সার্জারি তাঁদের জীবনটাই বদলে দিয়েছে। আগে যা করতে পারতেন না, সেই কাজই এখন অনায়াসে করতে পারছেন তাঁরা। এমনকী নিজেদের পছন্দের কাজগুলিও। ট্রেনে যাতায়াত, ট্রেকিং, নাচ – এই সব কিছুই রোগীরা করতে পারছেন অস্ত্রোপচারের পরে। অনুষ্ঠানের শেষ হয় এক রোগীর গল্প দিয়ে। যিনি এখন ট্রেকিং উপভোগ করছেন।
আরও পড়ুন– আর মাত্র ক’টা দিনের অপেক্ষা! সায়ন্তনী-সাহিলের প্রেমের গল্প বলতে আসছে ‘বোকা ঘুড়ি’
এই প্রসঙ্গে ডা. রাকেশ রাজপুত বলেন, “রোবট-অ্যাসিস্টেড সার্জারির মাধ্যমে নিখুঁত ভাবে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব। পূর্ব ভারতে এই সার্জারির আগমন ঘটেছে সিএমআরআই-এর টিমের হাত ধরেই। ১৮ মাসের মতো কম সময়ে প্রায় ৫০০ রোগী যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এই ধরনের সার্জারিতে ঝুঁকি অনেক কম, এমনকী অস্ত্রোপচারের পরে রোগীদের জীবনের মানও উন্নত হয়।”
সিকে বিড়লা হাসপাতালের ইউনিট হেড-সিএমআরআই সোমব্রত রায়ের বক্তব্য, “সিএমআরআই-এ আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে, বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে। সিএমআরআই হল প্রথম হাসপাতাল, যার হাত ধরে পূর্ব ভারতে এই প্রযুক্তির আগমন ঘটেছে।”
এর পাশাপাশি সিএমআরআই-এর অর্থোপেডিক কনসালট্যান্ট ডা. কুণাল কান্তি পাল বলেন, “জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির সবথেকে কঠিন দিক হল প্রস্থেটিক জয়েন্টের বিভিন্ন উপাদানকে সমান ভাবে সারিবদ্ধ করা। যাতে ইন্টারলক হয়ে তা সঠিক ভাবে সঞ্চালিত হতে পারে।”