কমলালেবু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে দেয় শক্তিশালী ইমিউনিটি। এর ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এখানেই সামান্য সমস্যা। ভিটামিন C-র অতিরিক্ত সেবন শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত কমলালেবু খেতে নিষেধ করেন।
আরও পড়ুন-শিশুদের স্কুলে পাঠানোর আগে ‘ব্যান্ড বাজা’-র ব্যবস্থা ! দিল্লির এই ভিডিও এখন তুমুল ভাইরাল
advertisement
১০০ গ্রাম কমলালেবুতে ৪৭ গ্রাম ক্যালোরি, ৮৭ গ্রাম জল, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন, ১১.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.৪ গ্রাম সুগার, ২.৪ গ্রাম ফাইবার এবং ৭৬ শতাংশ ভিটামিন C থাকে। তাই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হলেও কমলালেবু খাওয়া উচিত পরিমিত।
অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার সাইড এফেক্ট দেখে নেওয়া যাক-
এখন কেউ যদি দিনে ৪-৫টা করে কমলালেবু খেতে শুরু করে তাহলে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ফাইবার যাবে। যার ফলে পেট খারাপ, পেটে ব্যথা-খিঁচুনি, ডায়রিয়া, বমি-বমি ভাব দেখা দিতে পারে। আবার বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, অত্যধিক ভিটামিন C-র প্রভাবে অম্বল, বমি, অনিদ্রা, এমনকী হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সময় থাকতে সাবধান!
দিনে ক'টা কমলালেবু তাহলে খাওয়া যেতে পারে?
কমলালেবু প্রাকৃতিক ভাবে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল। গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগে (জিইআরডি) আক্রান্তরা কমলালেবু খেলে পেট জ্বালা করতে পারে। তাই এমন রোগীদের কমলালেবু দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়ার ফলে বমি এবং বুক জ্বালা হতে পারে। যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাঁদেরও কমলালেবু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন- ঝুলন্ত চেয়ার ভেঙে হুড়মুড়িয়ে নিচে পড়লেন বর ও বউ ! তুমুল ভাইরাল বিয়ের এই ভিডিও
কমলালেবুতে পটাশিয়াম কম থাকে। কিন্তু যাঁদের শরীরে আগে থেকেই পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে কমলালেবু খেলে হাইপারক্যালেমিয়া রোগের সম্ভাবনা থাকে।
তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মানুষের ১টা থেকে ২টোর বেশি কমলালেবু দিনে খাওয়া উচিত নয়, এমনই বলছেন স্বাস্থ্যবিদরা!