সাধারণত বায়ুবাহিত ধূলিকণা নাক ও মুখ দিয়ে আমাদের ফুসফুসে পৌঁছায়। ক্রমশ তা ফুসফুসের ক্ষতি করতে শুরু করে। এর ফলে মুম্বইতে অনেক জায়গায় কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা শুরু হচ্ছে। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ক্লান্তি ও চোখে জ্বালাপোড়ার মতো রোগ বেড়েছে। এই সমস্যা ছোট শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয় তা জানিয়েছেন ডা. শচীন মাহাত্রে।
advertisement
বর্তমান সময়ে ক্রমাগত বাড়ছে বায়ু দূষণ। সেই কারণে নাগরিকদের মধ্যে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ধুলো থেকে অ্যালার্জি, হাঁপানি, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের এই বায়ু দূষণ থেকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় সকলেরই মাস্ক পরে থাকা আবশ্যিক, এতে বায়ু দূষণ থেকে নিজেকে খানিকটা রক্ষা করা সম্ভব।
সাধারণ সর্দি-কাশি হলে দ্রুত কোনও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। একই ভাবে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই উচিত এই সময় গরম জলে স্নান করা। মাসে দুই থেকে তিনবার ভেপার নেওয়া উচিত।
কয়েকদিনের মধ্যেই সারা দেশে দীপাবলি উৎসব শুরু হবে। অনিয়ন্ত্রিত বাজি পোড়ানোর ফলে বিশেষ করে এই সময় বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই বাড়তে পারে। তাই এই সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডা. শচীন মাত্রে পরামর্শ দিয়েছেন যে হাঁপানি এবং অ্যালার্জি আছে এমন রোগীদের দীপাবলীতে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত। যাঁদের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই সময় বাড়িতে থাকার চেষ্টা করলেই ভাল হয়। সম্ভব না হলেও চেষ্টা করতে হবে যাবে বাজির ধোঁয়া কোনও ভাবেই নাকে প্রবেশ করতে না পারে। এজন্য মাস্কই ভাল।