পার্কিনসন্স রোগ হল নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ। যার জেরে নানা ধরনের স্নায়বিক উপসর্গ দেখা দেয়। সবথেকে সাধারণ এবং সুপরিচিত উপসর্গ হল ট্রেমরস। এছাড়াও এই রোগের ক্ষেত্রে নানা রকম মোটর উপসর্গও দেখা দেয়, যা আমাদের অঙ্গ সঞ্চালনের উপর প্রভাব ফেলে। আবার নন-মোটর উপসর্গও থাকে, যা দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
advertisement
ক্লাসিকাল মোটর উপসর্গ সহজেই চোখে পড়ে। যার মধ্যে অন্যতম হল ট্রেমর, পেশিতে দৃঢ়তা, রোজকার কাজে সমস্যা, হাঁটার ধরনে বদল ইত্যাদি। তবে নন-মোটর উপসর্গগুলি আবার সেভাবে চোখে পড়ে না। এর মধ্যে অন্যতম হল মেজাজে পরিবর্তন, ঘ্রাণশক্তি হারানো, ঘুমজনিত নানা সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সেক্সুয়াল ডিজফাংশন ইত্যাদি। এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য প্রতি বছর ১১ এপ্রিল দিনটাকে বিশ্ব পার্কিনসন্স রোগ সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আসলে এই দিনটা ডা. জেমন পার্কিনসনের জন্মদিন। ওই চিকিৎসকই ১৮১৭ সালে প্রথম বার পার্কিনসন্স রোগ সম্পর্কে প্রথম বর্ণনা করেন। সেই কারণে তাঁর নামেই রোগের নামকরণ।
অন্যান্য রোগের মতোই পার্কিনসন্সের ক্ষেত্রেও ভাল চিকিৎসার বিকল্প রয়েছে। আর রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জরুরি হল ব্যায়াম এবং সুখী জীবনযাপন। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাল এক্সারসাইজ এবং সঠিক ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা করা সম্ভব। সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু থেরাপির প্রয়োজন। এই পর্যায়ে ক্রমাগত ডোপামিনার্জিক স্টিমুলেশন থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম হল ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন (ডিবিএস) থেরাপি, অ্যাপোমর্ফিন পাম্প থেরাপি, লিভোডোপা কার্বিডোপা ইন্টেস্টিনাল জেল ইনফিউশন থেরাপি। এই সব থেরাপিই ভারতে উপলব্ধ।
বিশ্ব পার্কিনসন্স রোগ দিবসে আরও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সেই কারণে এই এগিয়ে এসেছেন এক দল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। www.movementdisordersclinic.com মাধ্যমে রোগীদের সহায়তা করা হবে। এই বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। এমনকী রোগীরাও বিশেষজ্ঞদের সাহায্য পাবেন।