ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত এক গ্লাস করে মদ্যপান করেন তাঁদের অ্যালকোহলে ১২ গ্রাম ইথানল থাকে যা ১২০ মিলিলিটারের ওয়াইন গ্লাসের সমান বা ৩৩০ মিলিলিটারের বিয়ার গ্লাসের সমান। রিপোর্ট অনুযায়ী এই পরিমাণ অ্যালকোহল অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের কারণ হতে পারে। যার কারণে অস্বাভাবিক হারে হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায় অবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
advertisement
জার্মানির (Germany) হ্যামবার্গ-এপেনডর্ফ(Hamburg-Eppendorf) দ্য ইউনিভার্সিটি হার্ট অ্যান্ড ভাস্কুলার সেন্টারের (The University Heart and Vascular Center) কার্ডিওলজিস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর রেনেট স্ক্যানবেলের (Renate Schnabel) নেতৃত্বে গবেষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন নিয়ে হওয়া এখনও পর্যন্ত সবচেযে বড় গবেষণা এটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে এমন অনেকে আছেন যাঁরা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে মদ্যপান করতে করতে সেই মাত্রাটা বাড়িয়ে ফেলে। এরপর অতিরিক্ত অ্যালকোহলের মাত্রা হার্ট ফেইলিওর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
এই গবেষণা সুইডেন (Sweden), নরওয়ে (Norway), ফিনল্যান্ড (Finland), ডেনমার্ক (Denmark ) এবং ইতালিতে (Italy) করা হয়েছে। মোট ১০৭,৮৪৫ জনের মধ্যে এই গবেষণা চলেছে। ১৯৮২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেডিকেল হিস্ট্রি, জীবনধারার ওপর কাজ কার হয়। যাঁদের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা দুই ছিল। প্রফেসর স্ক্যানবেল এই পুরো গবেষণাকে একটি ‘J’ সেপ গ্রাফ দিয়ে তুলনা করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে কিছু মানুষ দিন প্রতিদিন অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা বাড়িয়ে ছিল এবং হার্ট ফেইলিওর হওয়ার ঝুঁকিও তাঁদের বেড়ে গিয়েছিল।
প্রফেসর স্ক্যানবেলের-এর রিপোর্টেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ‘J’ সেপ গ্রাফ অনুযায়ী অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের যে লক্ষণ দেখানো হয়েছে তা একেবারে সঠিক কারণ হিসেবে কাজ করে কিনা তা প্রমাণিত নয়। তবে নিয়মিত মদ্যপানে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের সম্ভাবনা থাকছে তা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে।
এখন চিকিৎসকদের দাবি এই গবেষণার ‘J’ সেপ গ্রাফের সঠিক কার্যকারণ বিচার করার জন্য আরও বড় গবেষণা করা হোক। ফলে ততদিন হার্টের রোগীদের পরিমিত মদ্যপানের পরামর্শ না দেওয়ার কথাই বলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।