TRENDING:

Children Obesity: শৈশবের স্থূলত্ব থেকে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা! আজই সতর্ক হোন, মেনে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শ

Last Updated:

Children Obesity: কীভাবে সামলাতে হবে নিজের সন্তানকে, জানালেন বেঙ্গালুরুর কাবেরী হাসপাতালের নিওনেটালজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শ্রীনাথ মণিকান্তি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: গত দু’দশকে আমূল বদলে গিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা, বিশেষত ভারতে। এই সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গেই এসে উপস্থিত হয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য-সমস্যা। শিশুদের স্থূলতা বা ‘চাইল্ডহুড ওবেসিটি’ এমনই মারাত্মক বিষয়। এখন ভারতে এটি প্রায় মহামারী। এদেশে প্রায় ১৪ মিলিয়ন শিশু এই সমস্যায় ভুগছে। সারাবিশ্বে দ্বিতীয় ভারত। দেখা যাচ্ছে উচ্চ-আয়ের পরিবার এবং বেসরকারি স্কুলগুলিতে এই সমস্যা ৩৬-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাতে হবে নিজের সন্তানকে, জানালেন বেঙ্গালুরুর কাবেরী হাসপাতালের নিওনেটালজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শ্রীনাথ মণিকান্তি।
advertisement

শিশুদের স্থূলতার কারণ:

যে পরিমাণ ক্যালোরি শিশুরা গ্রহণ করছে, সেই অনুপাতে পরিশ্রম হচ্ছে না, এটাই প্রধান কারণ। এমনিতেই ভারতীয়দের মধ্যে জিনগত স্থূলতার প্রবণতা থাকে। তার উপর পরিবেশগত প্রভাবেই ছোটদের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে।

গত কয়েক বছরে ঐতিহ্যগত খাবারের প্রতি অনীহা জন্মেছে। পাতে বাড়ছে শর্করা ও স্নেহপদার্থের পরিমাণ। ফুড-ডেলিভারি অ্যাপের দৌলতে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে ফাস্টফুড। নগরায়ণ এবং ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাবে একদিকে শারীরিক পরিশ্রম কমছে, অন্য দিকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হচ্ছে। কোভিড মহামারী পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে। দিনের পর দিন শিশুরা স্কুলে যায়নি, মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

advertisement

স্বাস্থ্যের উপর স্থূলতার প্রভাব:

শিশুদের স্থূলতা টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, অস্টিওআর্থারাইটিস, করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, গলব্লাডারের রোগ, শ্বাসকষ্ট, আচরণগত সমস্যা এবং কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতি তিনজনের দুইজন শিশুর স্থূলতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে। রোগের ঝুঁকিও থাকবে।

শৈশবের স্থূলতা প্রতিরোধ:

advertisement

WHO-এর মতে, শিশুদের স্থূলতা একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এটি প্রতিরোধ করা অপরিহার্য। কারণ এর চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার—

১. ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো।

২. পর্যাপ্ত জল পান।

৩. স্ক্রিন টাইম কমানো। টিভি বা মোবাইল দেখতে দেখতে খেলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। বিজ্ঞাপনও শিশুদের ফাস্ট ফুডে আকৃষ্ট করে।

advertisement

৪. দৈনন্দিন খাদ্যে চিনির পরিমাণ কমানো। চিনিকে এখন ‘তামাক’-এর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মিষ্টি পানীয়ের পরিবর্তে জল পান করতে হবে।

৫. পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চায় উৎসাহিত করতে হবে। দিনে অন্তত একঘণ্টা হাঁটা, ট্রেকিং, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা করা প্রয়োজন। সপ্তাহান্তে পারিবারিক ভ্রমণ শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারে।

আরও পড়ুন-গদগদ প্রেম ভেঙে চুরমার! অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে রহস্যময় পোস্ট মালাইকার

advertisement

আরও পড়ুন-উচ্চ কোলেস্টেরলের যম এই ফল, রোজ সকালে ২ করে খেলেই কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি, ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকরী

আদর্শ হবেন অভিভাবক:

বাবা-মায়ের জীবনচর্যা, খাদ্যাভ্যাস থেকেই শিশুরা শিখবে। তাই পারিবারিক আবহে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং বাদামের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে হবে। চর্বির পরিমাণ সীমিত করা দরকার। দু’বছর বয়সের পর ‘স্কিমড মিল্ক’ দেওয়া দরকার। তাজা খাবার খেতে হবে।

তবে জোর করে খাওয়ানো যাবে না। তাতে আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শিখবে না শিশু। ক্ষুধা অনুযায়ী শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। কোনও কাজের পুরস্কার হিসেবে খাদ্যদ্রব্য না দেওয়াই ভাল।

৬ থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যেই পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। সঠিক সময়ে দুধের বদলে শক্ত খাবার খাওয়ানো হলে ভবিষ্যতে লাভ হবে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Children Obesity: শৈশবের স্থূলত্ব থেকে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা! আজই সতর্ক হোন, মেনে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল