১) বয়স হয়ে গেলে যোগা করা যায় না
এটা একদম ভুল কথা। শেখার ইচ্ছেটাই আসল। যোগব্যায়ামের ভাণ্ডারে সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে। ছোটদের জন্য, বড়দের জন্য এবং বয়স্ক মানুষদের জন্যও।
২) যোগা শুধু মহিলাদের জন্য
যোগব্যায়ামের সঙ্গে পুরুষ বা মহিলার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ যোগব্যায়ামের মূল কাজ হল শরীর ও মনের মধ্যে একটি সমন্বয়ের সেতু তৈরি করা। সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য।
advertisement
৩) যে কোনও রোগব্যাধি চট জলদি সারিয়ে দেয় যোগা
শরীরে একটি রোগ বা কোনও সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। ফলে সেটা যে কোনও উপায়ে চট করে সেরে যায় এটা ভাবা ভুল। যোগব্যায়াম একটি সাধনার মতো। বেশ কিছু দিন ধরে ধীরে ধীরে করার পর কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। তাই এটা জলদি মুশকিল আসান করবে এটা ভাববেন না।
৪) যে কোনও ফিটনেস প্রশিক্ষক যোগা শেখাতে পারেন
অনেকেই মনে করেন যোগা মানেই স্ট্রেচিং। তাই অনেক ফিটনেস প্রশিক্ষক যোগা বলে স্ট্রেচিং শেখান। তাঁদের নিজেদের কোনও প্রশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যোগা মানে শুধুই স্ট্রেচিং নয়। এর সঙ্গে মনের উন্নতিও জড়িয়ে আছে। তাই যোগব্যায়াম শিখতে হলে যারা প্রকৃত অর্থে সেটা জানেন তাঁদের কাছেই শেখা উচিত।
৫) গর্ভবতী অবস্থায় যোগা শেখা যায় না
ডাক্তার বললে অবশ্যই যোগব্যায়াম করা যায়। গর্ভবতী মা যদি আসন ও প্রাণায়াম নিয়মিত করেন তাহলে সন্তানের জন্ম দিতে সুবিধা হয়। এছাড়া একজন মহিলার এই সময় কিছু মানসিক চাপ থাকে, যোগার মাধ্যমে সেগুলোও সামাল দেওয়া যায়।
৬) বই পড়ে বা ভিডিও দেখেও যোগা শেখা যায়
ইন্টারনেটে প্রচুর বিনামূল্যে যোগা ট্রেনিং সংক্রান্ত জিনিসপত্র আছে। কিছু লেখা পড়ে বা ভিডিও দেখে কিন্তু যোগা শেখা সম্ভব নয়। কারণ এতে চোট লাগার আশঙ্কা আছে। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ছাড়া নেট দেখে যোগা না শেখাই ভালো!