হিসেব অনুযায়ী, ৯০-৯৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে আবার পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মাইগ্রেন হয় বেশি। যেহেতু, হরমোন এই সমস্যার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করে, তাই মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, টেট উত্তীর্ণদের বিরাট সুবিধা! কবে কোথায় মিলবে শংসাপত্র জেনে নিন এখনই
advertisement
আবার ক্রনিক মাইগ্রেনের একাধিক কারণ থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল লাইফস্টাইল ও জিনগত বিষয়। মাইগ্রেনের রোগীদের যে সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল - ঝাপসা দৃষ্টি, হাই ওঠা ও ক্লান্তিভাব, মাথার এক পাশে যন্ত্রণা ও বমি। এই প্রতিবেদনে আমাদের সঙ্গে মানসিক চাপ ও মাইগ্রেনের যোগসূত্র নিয়ে কথা বলেছেন বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. অনুরাধা এইচ কে।
মানসিক চাপ ও মাইগ্রেন:
মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে অন্যতম ট্রিগার হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। আর স্ট্রেসের কারণ হল হরমোনজনিত পরিবর্তন ও মানসিক কিছু বিষয়। তাছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্রও কিন্তু স্ট্রেসের কারণ। আর ঘুমের ঘাটতি, উপবাস, উত্তেজনা, রাগ, ডিপ্রেশন প্রভৃতিও এর কারণ হতে পারে। আর এই বিষয়গুলি বাড়তে থাকলে মানসিক চাপও বাড়ে।
মাইগ্রেন প্রতিরোধের জন্য রইল স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের উপায়:
পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এতে এনার্জির মাত্রা বাড়ে আর বিরক্তির মাত্রাও কমে।
গান শুনতে হবে। এতে রক্তচাপ এবং স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে শারীরিক কসরত করা জরুরি। কারণ এক্সারসাইজের মাধ্যমে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! পুজোর আগে হলুদ ট্যাক্সিও হবে অ্যাপ ক্যাব, বড় ঘোষণা করল সরকার
স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা অপরিহার্য:
ডায়েটে বেশি পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে। সঙ্গে জরুরি ভিটামিনও রাখা উচিত। মোট কথা, ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলার অভ্যেস তৈরি করতে হবে।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করার দুর্দান্ত উপায় হল মেডিটেশন বা মনঃসংযোগ। গভীর ও পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে ডিপ্রেশন ও উত্তেজনাও দূর হয়।