তাঁর বক্তব্য, সন্তান পরিকল্পনা কিংবা সন্তানধারণের আদর্শ বয়স হবে ২১ বছর থেকে ৩৫ বছর। তবে এর মানে এই নয় যে, ৩৫ বছর বয়সের পরে কোনও মহিলা সন্তানধারণ করতে পারবেন না। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, বহু মহিলাই আজকালকার দিনে ৩৫ পেরোনোর পরেই সন্তান পরিকল্পনা করে থাকেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাতৃত্বের সফরটা সহজ হয় না।
advertisement
আসলে স্বামী-স্ত্রীর বয়স বাড়ে, তার সঙ্গে বাড়ে মানসিক চাপ এবং উত্তেজনাও। আর কয়েক মাসের মধ্যে ইতিবাচক ফল না-আসার ফলে আরওই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁরা। আর কোনও উপায় না-দেখেই ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের কৃত্রিম ধরন বেছে নিতে বাধ্য হন। এর মধ্যে অন্যতম হল ফলিকিউলার স্টিমুলেশন, ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন, ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: নিত্য মানসিক চাপ! এখনই সাবধান না হলে ভুগতে হতে পারে বড় অসুখে
৩৫ বছর বয়স পেরোনোর পরে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে আরও একটা সমস্যা থাকে। সেটা হল ফার্টিলিটি ইনডেক্স। আসলে মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির ফলে ওভ্যুলেশনের জন্য প্রাপ্ত ফলিকলের সংখ্যা কমে যায়। যার ফলে সঠিক ওভ্যুলেশন হয় না এবং ডিম্বাণুর গুণমান কমে যায়। এর জেরে স্ত্রী হরমোনগুলি পর্যাপ্ত ভাবে তৈরি হয় না। যার ফলে ইউটেরাইন লাইনিংয়ে আরও সমস্যা দেখা যায়।
বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে আরও নানা সমস্যা আসে। তার মধ্যে অন্যতম হল আর্লি ট্রাইমেস্টার মিসক্যারেজ, প্রেগনেন্সি এবং হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, লো-ফিটাল ওয়েট, গ্রোথ রিটার্ডেশন, ক্রোমোজোমাল এবং কনজেনিটাল সমস্যা, প্রিটার্ন বার্থ, সন্তানের জন্মের সময় ঝুঁকি ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁটতে অসুবিধা? হার্টের বড় অসুখ বাসা বাঁধল! চিকিৎসকদের পরামর্শ জানুন
এই সব বিষয় মাথায় রেখেই বলা হয় যে, পঁচিশ বছর থেকে তিরিশের কোঠায় থাকতে থাকতেই সন্তান পরিকল্পনা ছকে ফেলা উচিত দম্পতিদের। আর প্ল্যানিংয়ের আগে কিন্তু তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। মানসিক চাপ থেকেও দূরে থাকা উচিত। এতেই মাতৃত্বের সফর অনেক সুন্দর এবং মসৃণ হয়ে উঠবে।