পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা PCO-র সমস্যাগুলি কী কী?
গুরগাঁওতে অবস্থিত সি কে বিড়লা হাসপাতালের সিনিয়ার গাইনোকলোজিস্ট ডক্টর অরুণা কালরা এবিষয়ে বলেছেন, “পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম মূলত একটি হরমোন জনিত সমস্যা। সাধারণতঃ গর্ভধারণের সময় থেকে মহিলারা এই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তবে ১৫ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে কোনও মহিলারা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। এই সমস্যার তাঁদের ওভারি বা ডিম্বাশয়ে প্রভাব ফেলে। পিরিয়ড অথবা অতিরিক্ত মেন্সট্রুয়াল হরমোনের আধিক্য হলে রিপ্রোডাকটিভ হরমোনের মধ্যে তারতম্য দেখা দেয়। যার ফলস্বরূপ PCO-সমস্যার সম্মুখীন হন মহিলারা।"
advertisement
জেনে নেওয়া যাক পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা PCO-র ক্ষেত্রে যোগ কতটা উপকারী-
PCO-র এর ক্ষেত্রে নিয়মিত যোগ করলে শরীরের মধ্যে অবস্থিত পেলভিক অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এবং চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল জিন্দাল নেচারকিওর ইন্সটিটিউটের যোগা ট্রেনার দীপিকা দিক্ষিতের কাছে। তিনি বলেন, “ন্যাচরোপ্যাথি এবং যোগা করলে শরীরের মধ্যে সমস্ত হরমোনের সঠিক মাত্রা থাকে। পাশাপাশি PCO-র কারণে যে মানসিক চাপ এবং অশান্তির সৃষ্টি হয় তা দূর করা সম্ভব।"
ডাক্তার চিত্রা আনন্দ মনে করেন যোগা নার্ভাস সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে। যা দুশ্চিন্তা দূর করে এবং অ্যান্টি মূলেরিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়মিত করে। যাতে মহিলারা সুস্থ থাকেন এবং PCO-র মতো কোনও সমস্যার সে ভাবে মুখোমুখি হন না।
ডায়াটেশিয়ান রজন জৈন এবিষয়ে বলেছেন, প্রতিদিন যদি নিয়ম করে যোগা করা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ কম হবে। এবং PCO-র সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন দুশ্চিন্তা দূর হবে। যে সব মহিলা PCO-র সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন নিয়মিত ৩০ মিনিট করে যোগা করা উচিত। এতে প্রায় টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ ৩০ শতাংশ কম হবে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন আসন করা প্রয়োজন-
১) মলাসন (Malasana)
এই আসনের ফলে হজমের সমস্যা হবে না।
২) সূর্য নমস্কার (Surya Namaskar)
ব্লাড সুগার ও ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী।
৩) ভুজঙ্গাসন (Bhujang Asana)
ডিম্বাশয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪) বাধাকোনাসন (Badhakonasana)
পিরিয়ডের যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে।
৫) নৌকাসন (Naukasana)
ওজন কমাতে সাহায্য করে।