মাস্কনি কী?
এটা মূলত দুই কারণে হয়, বহু ক্ষণ ধরে মাস্ক পরে থাকা এবং মাস্কের বারংবার ব্যবহার। সার্জিক্যাল মাস্ক এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরনের মাস্ক অনেকেই বারবার ব্যবহার করে থাকেন। এই কারণেই অ্যাকনে হয়। আসলে ব্যবহৃত মাস্ক বাতাসে ভাসমান ব্যাকটেরিয়া শোষণ করে। আর বারবার পুরনো মাস্ক ব্যবহার করা হলে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বাড়তে থাকে। যার ফলে ত্বকের সমস্যা এবং ব্রণ বা অ্যাকনে উঠতে পারে। আবার মাস্কের সিন্থেটিক উপকরণ তৈলাক্ত ত্বকের সঙ্গে ঘষা খায়। ফলে মাস্কের সংস্পর্শে থাকা ত্বকে অ্যাকনে ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে! গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বাড়ছে না তো? বলছেন বিশেষজ্ঞ
প্রতিরোধের কিছু উপায়:
প্রতি বার মাস্ক ব্যবহারের পরে বদলাতে হবে:
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময় পরিষ্কার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দিনে ডিসপোজেবল মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, মাস্কের কারণে ত্বকে যেন ধুলো-ময়লা জমতে না পারে। যাঁরা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেন, ত্বক সুস্থ রাখার জন্য তাঁদের নিয়মিত ওই মাস্ক ধুতে হবে।
ত্বক পরিষ্কার:
ত্বক পরিষ্কার রাখলে অ্যাকনে প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ জেন্টল ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। দিনে অন্তত দুই বার এ-ভাবে পরিষ্কার করলে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলও বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: গর্ভধারণের সময়ে ওবেসিটি ডেকে আনে বিপদ! এই নিয়ম মেনে চলুন, শুনুন বিশেষজ্ঞের কথা
বারবার হাত দেওয়া যাবে না:
অনেকেই বারবার পিম্পলে হাত দেন কিংবা খোঁচাখুচি করেন। এটা করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ হাতের অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া, তেল-ময়লা, ধুলো মুখে লেগে যেতে পারে। এর ফলে ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য হাত মুখে দেওয়া যাবে না।
অ্যাকনে প্যাচের ব্যবহার:
পিম্পল অথবা অ্যাকনে থেকে মুক্তি পাওয়ার মূল উপায় হল হাইড্রোকলয়েড। এটা দূষণকারী বস্তুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। অ্যাকনে হিলিং প্যাচ অ্যাকনে কিংবা পিম্পলের উপর বসাতে হবে। এটা করার ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবর্তন দেখা যাবে।
এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। অ্যাকনে থাকলে মেক-আপ করা যাবে না। আবার ভারী মেক-আপ করে মাস্ক পরলেও অ্যাকনে হতে পারে। বর্ষাকালে কোনও রকম মেক-আপ করা চলবে না। এর বদলে বরং একটা ম্যাট ময়েশ্চারাইজার অথবা সানস্ক্রিন ব্লক ব্যবহার করতে হবে। দিনে অন্তত ২ বার করে ফোমিং ফেসওয়াশ অথবা মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এই ভাবে মাস্কনির সমস্যা থেকে তো রেহাই মিলবেই তার সঙ্গে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।