বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা আচমকাই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যাচ্ছেন, সিপিআর-এর মাধ্যমে তাঁদের বাঁচানো সম্ভব। ফলে প্রত্যেকেই সিপিআর সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে নিউজ ১৮-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. ভদ্রদ্রি কোঠাগুদেম কিষাণ। তিনি তেলঙ্গানার ভদ্রাদ্রি কোঠাগুদেম জেলার ভদ্রাচলম সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি জানান যে, সিপিআর-এর অভাব আসলে রোগীকে আরও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। তাই আচমকা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য সিপিআর প্রশিক্ষণ অপরিহার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের থোড় এই ভয়ানক রোগ থেকে রেহাই দেবেই! জানতেন?
ডা. কিষাণের কথায়, এই বিষয়ে সকলের মধ্যেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। আমাদের আশপাশে যাঁরা হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের কবলে পড়েন, তাঁদের জীবন বাঁচাতে প্রথমেই অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দেওয়া হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্স আসার জন্য অপেক্ষা না করে যদি রোগীর সিপিআর করা হয়, তাহলে তাঁর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই প্রসঙ্গে ডা. কিষাণ জানান যে, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: বিছুটি পাতা মানেই শুধু চুলকানি? একদম না, এই রোগগুলির দাওয়াই এটি! জানুন
ডা. কিষাণের মতে, আসলে অনেক সময় কোষের মৃত্যু ঘটে। আর তার অন্যতম প্রধান কারণ হল কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মানুষ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছেন। ফলে এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা অপরিহার্য। যদি কোনও রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করার এবং চিকিৎসা শুরু করার আগেই গুরুতর কিছু একটা ঘটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই কারণে চিকিৎসকরা বলছেন যে, যাঁরা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) এই মৌলিক চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডা. কিষাণের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে জীবনদায়ী হয়ে উঠতে পারে সিপিআর।