কিন্তু কী সেই আবিষ্কার। সূত্রের খবর, ওই প্রতিষ্ঠানের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকরা এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন, যা এই সব সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই সতর্ক করে দেবে। ওই গবেষকদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম কৌশল, যা আগেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং অর্গ্যান ফেলিওর বা অঙ্গ বিকল হওয়ার সমস্যা সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবে।
advertisement
গবেষক সুমিত কুমার বলেন, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট থেকে রোগীর শারীরিক বিষয়ক তথ্য পাওয়া যায়। এই রিপোর্টগুলো যখন প্রস্তুত করা কম্পিউটার সফটওয়্যারে পড়া হয়, তখন মানবদেহের সক্রিয়তা, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার ও ধমনীতে বাধার বিষয়টিও সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব।
প্রথমে মিলবে অর্গ্যান ফেলিওর সংক্রান্ত তথ্য:
সাধারণত অর্গ্যান ফেলিওরের কথা আগে থেকে জানা যায় না। তবে এবার প্রথমেই এই সফটওয়্যারের সাহায্য এর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে সময় মতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকবে। ফলে অজানা বিপদ এড়ানো যাবে। গবেষক সুমিত কুমার বলেন যে, আইসিএমআর-এর প্রকল্পের আওতায় এই বিশেষ কম্পিউটার সফ্টওয়্যারটি তৈরি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এটি নিয়ে তিনি একটি গবেষণাপত্রও লিখেছেন। আইআইটি কানপুরের ডক্টর বি বি রথীশ কুমারও এই কাজে সাহায্য করেছেন।
ওয়াশিংটন প্রেসে প্রকাশিত গবেষণা:
সুমিত কুমারের এই গবেষণাটি আমেরিকার ওয়াশিংটন প্রেসেও প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর মতে, সিটি স্ক্যান রিপোর্টে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা রোগীদের আসন্ন রোগ শনাক্ত করতে পারে না। কিন্তু এই কৌশলের মাধ্যমে আমরা কোনও অস্ত্রোপচার ছাড়াই শিরা ও ধমনীর সমস্যার সঠিক বিশ্লেষণ করতে পারব। এছাড়া মানবদেহের কোন কোন স্থানে এই সব ব্লকেজের কারণে সমস্যা হতে পারে, সেটাও খুঁজে বের করতে পারবে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীরাও সময় মতো চিকিৎসা করাতে পারবেন।
কীভাবে কাজ করবে এই সফটওয়্যার?
এই কম্পিউটার সফ্টওয়্যারটি এক জন মানুষের থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করবে। তার পর ওই মডেলের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে মানবদেহে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা বিশ্লেষণ করবে।