TRENDING:

Health Tips: ডায়েট বৃথা! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওবেসিটি আর ডায়াবেটিস, সমাধান কী, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

Health Tips: ওবেসিটির সঙ্গে আসে বিভিন্ন ধরনের রোগ। যার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, বন্ধ্যাত্ব, স্লিপ অ্যাপনিয়া, সিরোসিস অফ লিভার, কিডনির রোগ, হাইপারটেনশন ইত্যাদি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আজকালকার দুনিয়ায় ওবেসিটি আশ্চর্যজনক ভাবে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। অথচ চার দশক আগে পর্যন্তও ওবেসিটি কিন্তু উদ্বেগের বিষয় ছিল না। বরং অপুষ্টি ছিল চিন্তার বড় কারণ। আর আশ্চর্যের বিষয় হল, মাত্র চার দশকের মধ্যে গোটা বিশ্বে ওবেসিটি বা অতিরিক্ত স্থূলতা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি একে অতিমারী বলেও গণ্য করা হচ্ছে।
advertisement

ওবেসিটি হল গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা। কারণ এটা শুধুমাত্র একটাই সমস্যা নয়। এর সঙ্গে আসে বিভিন্ন ধরনের রোগ। যার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, বন্ধ্যাত্ব, স্লিপ অ্যাপনিয়া, সিরোসিস অফ লিভার, কিডনির রোগ, হাইপারটেনশন ইত্যাদি।

গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি হল বেরিয়াট্রিক এবং মেটাবলিক সার্জারিরই অংশ। ডায়েট এবং এক্সারসাইজ করেও যেসব রোগীর ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সার্জারি করা হয়। এমনকী ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও রোগীদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলেও এটা করা হয়ে থাকে। যাঁদের ওজন ১০০ কেজিরও বেশি, তাঁদের ওবেসিটি কিংবা ডায়াবেটিস ডায়েট এবং এক্সারসাইজ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বেরিয়াট্রিক এবং মেটাবলিক সার্জারির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। বেরিয়াট্রিক এবং মেটাবলিক সার্জারির অন্যতম পন্থা হল গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি।

advertisement

আরও পড়ুন: হারানো যৌবন ফিরে পাবেন নিমেষে! পুরুষদের জন্য ‘ছোট্ট’ টিপস, পাতে রাখুন ‘এই’ ফল

আরও পড়ুন: অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখছেন? মূত্রথলিকে সুস্থ রাখতে এই অভ্যাসগুলি করতেই হবে

সিএমআরআই কলকাতার ডিপার্টমেন্ট অফ বেরিয়াট্রিক সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট জিআই সার্জন ডা. সরফরাজ জে বেগ বলেন, “গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারির সময়ে ল্যাপারোস্কোপিক উপায়ে পেটের মাপ কমানো যায়। এর পাশাপাশি অন্ত্রের একটা অংশও বাইপাস করা হয়। যার ফলে রোগীর খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। পেট ভর্তি থাকে। তবে যে খাবার খাওয়া হচ্ছে, তা রোগীর দেহে পুরোপুরি ভাবে শোষিত হয় না। গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, প্রবল ওবেসিটিতে আক্রান্ত রোগীদের দুর্দান্ত ভাবে ওজন কমে। শুধু তা-ই নয়, বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একটা সময়ের পরে রোগীদের আর ওষুধ খেতে হয় না। এছাড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া, আর্থ্রাইটিস-সহ আরও নানা রোগ রয়েছে, যেগুলি বেরিয়াট্রিক এবং মেটাবলিক সার্জারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।”

advertisement

বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই-এর সাহায্যে ওবেসিটির ধরন নির্ধারণ করা যায়। বিএমআই যদি ৩০-এর বেশি হয়, তাহলে ওবেসিটিকে রোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। যাঁদের বিএমআই ৪০-এর বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ওবেসিটিটা তীব্র রোগ। যা মরবিড ওবেসিটি নামেই পরিচিত। আর যাঁদের বিএমআই ৫০-এর বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সুপার ওবেসিটি নামে পরিচিত।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Health Tips: ডায়েট বৃথা! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওবেসিটি আর ডায়াবেটিস, সমাধান কী, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল