বর্ষাকালে জেলা হাসপাতালগুলিতে এই ধরনের রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই এই মরশুমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন যাতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ এবং মশার হাত থেকে বাঁচা যায়।
এই সব রোগের বিস্তারের কারণ: ডেপুটি চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডা. ঘনশ্যাম চাওলা বলেন, বর্ষাকালে ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষায় অনেক জায়গায় জল জমে থাকে। যার ফলে মশার বংশবৃদ্ধি হয়। এ থেকেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। পাশাপাশি নোংরা বা অপরিস্রুত জল পান করার কারণে টাইফয়েড, ডায়রিয়া (পাকস্থলীতে সংক্রমণ) এবং ভাইরাল জ্বর ও সর্দি-কাশিতেও ভোগেন অনেকে।
advertisement
রোগ এড়াতে এটা করুন: ডা. ঘনশ্যাম চাওলার কথায়, ‘বর্ষার মরশুমে মশা ও বর্ষার পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া সবচেয়ে জরুরি। বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফুল হাতা জামা পরা উচিত। বাড়ির ভিতরে বা আশপাশে থাকা ফুলের টবে যাতে বৃষ্টির জল না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে’।
এই সময় বুঝে শুনে খাওয়াদাওয়া করা উচিত বলেও মনে করেন ডা. ঘনশ্যাম চাওলা। তাঁর পরামর্শ, ‘এই মরশুমে জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে রান্না করা টাটকা খাবার খাওয়াই ভাল। এর কোনও বিকল্প নেই। না হলে পেটে ইনফেকশন হতে পারে’।
এইভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা উচিত: রোগের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে বর্ষাকালে। ডা. ঘনশ্যাম চাওলার কথায়, ‘বর্ষাকালে আদা, রসুন, লেবু, প্রচুর শাকসবজি এবং নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। উন্নত হবে মেটাবলিজম। প্রতিদিনের ডায়েটে তাজা ফল এবং সবজি রাখাও অপরিহার্য’।